বিএনএ, ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে রূপটপ সোলার জনপ্রিয় বিজনেস মডেল হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে জমি স্বল্পতর জন্য সৌরবিদ্যুতের বড় প্রকল্প নেয়া যাচ্ছে না। সৌরবিদ্যুতে কম জমি লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার(২৩জুন) অনলাইনে ‘টিম ইউরোপ ইনিসিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন’ (নবায়ণযোগ্য জ্বালানি পরিবর্তনের বিষয়ে টিম ইউরোপ উদ্যোগ) উদ্যোগটির বাংলাদেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনায় নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। ২০৪১ সালে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ ৪০% হবে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টিমের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুৎ সেবা দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানির পরিবেশ সমৃদ্ধ করবে। ইউরোপীয় দেশসমূহের সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত হবে।
টিম ইউরোপ ইনিসিয়েটিভ-এর সাথে বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ওশান নবায়ণযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনুসন্ধান ও কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান কাজগুলোতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ইউরোপের অভিজ্ঞতা এসব বিষয় উন্নয়নে আশানুরূপ অবদান রাখবে। মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে একত্রে কাজ করতে পারলে উভয়পক্ষই উপকৃত হবে।
গ্রিন ইনক্লোসিভ ডেভেলপমেন্ট এর সোশাল প্রোটেকশন বিভোগের টিম লিডার কোয়েন এভারার্ট (Koen Everaert)-এর সঞ্চালনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসজে টিরিংক (Rensje Teerink), জার্মান দূতাবাসের হেড অভ্ কো-অপারেশন কারেন ব্লুম (Caren Blume), স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, কে এফ ডব্লিও ও এএফডি এবং ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
বিএনএ বাংলানিউজ,এসজিএন