21 C
আবহাওয়া
৪:২৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক সম্রাট রাকেশ ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক সম্রাট রাকেশ ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক সম্রাট রাকেশ ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক সম্রাট রাকেশ ওরফে হোসাইনকে তার ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফেনীর ছাগলনাইয়ার মধুগ্রামের মৃত ফরিদের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে রাকেশ (৩৫), চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. রশিদের ছেলে মো. আলী হোসেন ওরফে খোরশেদ (২৭), সাতকানিয়া থানার মাহালিয়া এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে মো. আমান উল্লাহ (২৬), হাটহাজারী থানার মধ্যম পাহাড়তলীর মো. সিরাজের ছেলে মো. ইদ্রিস (৩৮), খুলশী থানার আমবাগান এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর জব্বার (৩৮), কক্সবাজারের চকরিয়া থানার সওদাগর পাড়ার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) ও একই থানার ফাঁসিয়াখালীর আহম্মদ কবিরের ছেলে মনির উদ্দিন (৩৫)।

সোমবার (২২ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাদক সম্রাট রাকেশ ৬ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
বাংলাদেশি ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাকেশের

র‌্যাব জানায়, সোমবার (২২ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, লোহাগাড়া থেকে দুটি পিকআপযোগে কক্সবাজার মাদক যাচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়। এসময় সন্দেহজনক দুটি পিকআপকে চেক পোস্টের দিকে আসতে দেখে থামার সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু পিকআপ দুটি না থামিয়ে উল্টো গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর সময় গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়। পরে ওই গাড়ির পিছনে থাকা ফলের ক্যারেটের নিচ থেকে তিনটি বস্তা থেকে ৪২ কেজি গাঁজাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার মাদকের আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ টাকা।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানায়, এর আগে মাদক সম্রাট রাকেশ হোসাইনের মাদকের বিভিন্ন চালান জব্দ করা হলেও তাকে কোনসময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রাকেশ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও-মোহরা এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। তার মাদকের আস্তানায় এর আগে তিনবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের অভিযানে নাস্তানাবুদ হয়ে সবশেষে রাকেশ নিজেই মাদক ডেলিভারির কাজে নিযুক্ত হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে রাকেশ শীল ওরফে হোসাইন জানায়, তার আদি নিবাস ও জন্মস্থান ভারতের ত্রিপুরায়। তার বাবা-মা মারা যাওয়ায় দশ বছর বয়সে অন্য লোকের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ চলে আসে রাকেশ। বাংলাদেশে এসে প্রথমে নোয়াখালী ও পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় সেলুনে কাজ করতো। এরপর বন্দরটিলা এলাকায় গাড়ির হেল্পারের কাজ নেয় এবং লোহাগাড়া থানার চুনতি গ্রামে বিয়ে করে। পরবর্তীতে নাম পরিচয় পরিবর্তন করে বাংলাদেশি ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস তৈরি করে বাংলাদেশেই বসবাস করে আসছে। গত ১০ বছর ধরে রাকেশ তার পরিবার নিয়ে সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল সলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকায় বসবাস করে আসছে। রাকেশ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মূলত হোছাইন নামে পরিচয় দিয়ে থাকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। রাকেশ মোহরা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজে তার সহযোগীদের দিয়ে মাদকের আখড়া চালু করে। ধীরে ধীরে সে কক্সবাজারে গাঁজা ও ফেন্সিডিল সরবরাহ শুরু করে এবং সেখান থেকে ইয়াবার চালান এনে চট্টগ্রামে বিক্রি করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় রাকেশ।

তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন থানায় ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি ও উদ্ধার মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ