বিএনএ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (২৩ মার্চ) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এই চিঠি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
যেসব ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে – ব্র্যাক ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ব্যাংক আল-ফালাহ, সিটি ব্যাংক এন.এ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন, হাবিব ব্যাংক, এইচএসবিসি, ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না। এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে।
কিন্তু অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠন করেনি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা বিশেষ তহবিল এখনো গঠন করেনি, সেসব ব্যাংককে তা গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
বিএসইসির চিঠি অনুযায়ী, ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে পুঁজিবাজারে মাত্র ২৮টি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এখনো ৩৩টি ব্যাংক এই তহবিল গঠন করেনি। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক বিনিয়োগ সীমার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করেনি।
বিএনএ/এমএফ