মেডিকেল প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) ভোরে বেরাইদ পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- সাইদ হাসান, তার স্ত্রী রেখা আক্তার, তাদের ১০ বছর বয়সী মেয়ে সাফা ও ৯ বছরের ছেলে সাফিয়ান। তাদের মধ্যে সাইদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার শরীরের ৯৫ ভাগের বেশি পুড়ে গেছে। রেখাও শঙ্কামুক্ত নন। তার পুড়েছে ৩০ ভাগ।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, একটি আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার বাসার রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। পরে বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন দ্রুত বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দগ্ধ সাইদের ভাতিজা মো. রাজিব সাংবাদিকদের জানান, তার চাচা কাপ্তান বাজারে মাংস বিক্রি করেন। তিন তলা বাড়িটি তার নিজের। রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। তখনই হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, চারজনেরই জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে। সাহিদকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫টি ঘটনায় ১৯ জন দগ্ধ হয়ে এ হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ১১জন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, একে পর এক গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটছে। এ সব সিলিন্ডার আদৌকি সঠিক ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। গ্যাস ভরার আগে সিলিন্ডাকে ভাল ভাবে পরীক্ষা করা দরকার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্র মুনাফার কারনে যেমন তেমন করে সিলিন্ডার তৈরি করার কারণে আজ মানুষের এই দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সর্তক থাকতে হবে। এ ভাবে একে পরএক দূর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে এবং মানুষ হতাহত হচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪/আহা/এমএইচ