বিএনএ: ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় দুর্ভোগের পর ফিরতে শুরু করেছে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই বিভ্রাটে বহু গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ে। ফলে গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বিভ্রাটের এই সময়টায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছিল না।
জরুরি যোগাযোগ করতে না পেরে এই সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। অনেকে প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পরে উদ্বেগের মধ্যে পড়েন, অনেকের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বা পেশাগত দায়িত্ব পালনও বিঘ্নিত হয়।
নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়ে অনেকেই সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে থাকেন। পরে গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পেইজে সে সময় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে অসুবিধায় পড়েছেন গ্রাহকরা। সেজন্য গ্রামীণফোন ‘আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাসার জানান, দুপুর ২টার দিকে নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি জায়গায় ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে চালু থাকা ১৮ কোটি ৮ লাখ মোবাইল সিমের মধ্যে ৭ কোটি ৯৩ লাখই গ্রামীণফোন। অর্থাৎ, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৪২ শতাংশই গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন, যাদের একটি বড় অংশ নেটওয়ার্ক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তরফ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি জরুরি চিঠি পাঠানো হয় গ্রামীণফোনের সিইওকে।
বিটিআরসির পরিচলক (ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ) মো. গোলাম রাজ্জাক স্বক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সকল শ্রেণীর গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এমতাবস্থায়, জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতি দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।
বিএনএনিউজ/এমএফ