টাকা পয়সার সংকটে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই দরিদ্র পরিবারের সপ্তম শ্রেণীর দুই ছাত্রী সামিয়া আক্তার ও ফাতেমা আক্তারের লেখা পড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়ে ত্রিশাল পৌর ছাত্রলীগের নেতারা এখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটিপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের দুই দরিদ্র দিনমজুদের কন্যা সামিয়া আক্তার ও ফাতেমা আক্তারের পড়ালেখা করার খুবই ইচ্ছা। করোনার কারণেও বন্ধ ছিল তাদের পড়ালেখা। স্কুল খোলার পর তাদের পিতাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই স্কুলে ভর্তি করার।
আরও পড়ুন : সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কেমন হবে জানালেন অর্থমন্ত্রী
এমন তথ্য পেয়ে ত্রিশাল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন স্থানীয় দুখু মিয়া বিদ্যানিকেতনে সামিয়া ও ফাতেমাকে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন । তাদের স্কুল ড্রেস, বই, প্রাইভেট পড়ার খরচ ও যাতায়াত ভাড়াসহ সব কিছু তারা বহন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, গরিব পরিবারের সন্তান সামিয়া ও ফাতেমা পড়াশোনা করতে পারছে না এ খবর পেয়ে আমি তাদের পরিবারের খবর নিয়ে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। তাদের লেখা পড়া করতে যা যা লাগবে ছাত্রলীগ নেতারা তা যোগান দেবে। তাদের লেখা পড়ার স্বপ্নপূরণ করার দায়িত্ব আমাদের।
ছাত্রলীগ নেতারা দরিদ্র মেয়েদের লেখা পড়ায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, এমন খবরে স্থানীয়রা ছাত্রলীগ নেতাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বিএনএ নিউজ ২৪, জিএন