22 C
আবহাওয়া
২:২২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাজনীতিকে পবিত্র রাখার অঙ্গীকার রেজাউলের

রাজনীতিকে পবিত্র রাখার অঙ্গীকার রেজাউলের

রাজনীতির মত পবিত্র পেশাকে কলুষিত করবো না : রেজাউল

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা  মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৬৩ থেকে অদ্যাবধি অনেক জেল জুলুম সহ্য করেও নীতি ভ্রষ্ট হইনি। আমার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির মত পবিত্র পেশাকে কলুষিত করবো না।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন বণিকরা এখানে এসেছে। ঔপনিবেশিক আমলেও চট্টগ্রাম ছিল ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। অনেক গৌরব আমরা হারিয়েছি। চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ করলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। চট্টগ্রাম সর্বক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধীনতার ঘোষণা, ১ দফা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন সব কিছুই চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। কিছু সমস্যা থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের অবহেলায় চট্টগ্রাম পিছিয়ে আছে। তাই আমাদেরকে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, পেশাজীবী সবাই মিলে পরামর্শক্রমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের ব্যবসা, রাজনীতি ও অর্থনীতির হৃদপিন্ড। তাই চট্টগ্রামের গুরুত্ব অন্যান্য অঞ্চল থেকে স্বাতন্ত্র্য। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধেই নিয়েছেন। তিনি যা বলেন তা কার্যকর করে থাকেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে যে চলমান প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে এতদঞ্চল হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য বিনিয়োগ কেন্দ্রবিন্দু। মাহবুবুল আলম বর্তমান সরকারের রূপকল্পগুলো বাস্তবায়ন, উন্নয়ন ধারাবাহিকতা এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৫২ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি আমাদের ভাষার উপর হস্তক্ষেপ করে, ৫৪-তে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েও ক্ষমতায় যেতে পারলাম না। ৬ দফা আন্দোলন পরবর্তীতে ১দফা আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হল। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির হৃদপিন্ডের চালিকাশক্তি ব্যবসায়ী সমাজ উল্লেখ করে অতীত ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার আহবান জানান এবং সুনিশ্চিত জয়ের আশা ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া। ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামের গুরুত্ব বেশি। ‘এই নগর আমার নগর’ এই মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে গেলে নগরকেন্দ্রিক আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে। নগরের একজন হিসেবে যদি নিজ দায়িত্ব সঠিক ও যথাযথ সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারেন, তাহলে মেয়রের কাছে প্রত্যাশা পূরণ হবে।

তিনি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, নির্মিত নালায় মানুষ ময়লা নিক্ষেপ করে ডাম্পিং পয়েন্ট বানায়। শহরের উপর প্রতিনিয়তঃ চাপ বাড়লেও আয়তন বাড়ছে না। তবে সমন্বয়ের ঘাটতি বিদ্যমান। সেবা সংস্থাগুলোর কর্ণধারদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে আপাতকালীন কষ্ট হলেও ওয়াসার পানি ও স্যুয়ারেজ এর কাজ শেষ হলে জনগণ অচিরেই সুপেয় ও নিরাপদ পানি পাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। শেখ মোহাম্মদ তানভীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি এস. এম. আবুল কালাম, চেম্বার পরিচালক মো. এস. এম. আবু তৈয়ব, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু) ও মাহফুজুল হক শাহ, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী (বাচ্চু), উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এ. এম. চৌধুরী সেলিম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা দোকান মালিক সমিতির মহানগর সভাপতি সালামত আলী, বৃহত্তর বহদ্দারহাট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তাসকীর আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, চিটাগাং শপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম চৌধুরী, তামাকুমন্ডি লেইন দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলাল, টেরীবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক, বিজিএপিএমইএর ১ম সহ-সভাপতি কে.এইচ. লতিফুর রহমান (আজিম), সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম ডেকোরেটর্স মালিক সমিতির সভাপতি মো. সাহাবউদ্দিন, চাক্তাই শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক আনোয়ার হোসেন খান, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, মতি টাওয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নুর মোহাম্মদ, খুলশী টাউন সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জালাল আহমেদ রুম্মান, চট্টগ্রাম গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নেছার আহমেদ ও পাহাড়তলী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ