বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীসহ সারাদেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর সাথে জেঁকে বসেছে শীত। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাভাসে আবহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড় অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা ও রাজশাহীতে ৮ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই তিন অঞ্চল ছাড়াও সারাদেশেরই তাপমাত্রা কমে গেছে। মাত্র দুটি অঞ্চল বাদে দেশের সব অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। ফলে সব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দেশজুড়ে শীত জেঁকে বসেছে।
শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও রাঙ্গামাটিতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়অর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার পরের তিনদিন রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে বৃষ্টি না হলে রাজধানীতে শীতের প্রকোপ কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।
বিএনএনিউজ/জেবি