বিএনএ ডেস্ক: ‘মিয়ানমার পরিস্থিতি’ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো কোনো প্রস্তাব পাশ হয়েছে। গত বুধবার ১২ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়। কোনো সদস্যই এই প্রস্তাবে ভেটো কিংবা এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। তবে চীন, রাশিয়া ও ভারত ভোটদানে বিরত থাকে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকট ও এর টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ব্রিটেন এই প্রস্তাবের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে। প্রস্তাবে মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, এর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্রমাবনতি এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে আটকের কথা উল্লেখ করে সহিংসতা বন্ধ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানামুখি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে এই প্রস্তাব মিয়ানমারের চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সংস্থার দৃঢ়তারই প্রদর্শন। এই প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ পুনরায় আকৃষ্ট করবে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার পর মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
প্রস্তাবে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় ও তাদের সহায়তায় দেয়ার বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়া এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবের কথাও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ে নিয়মিত আলোচনার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।
প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যের সংকটের মূল কারণ সমূহ চিহ্নিত এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে প্রস্তাবে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সম্ভাব্য সমর্থন বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে একটি রিপোর্ট প্রদানে জাতিসংঘ মহাসচিব ও মিয়ানমারে তার বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ
