ঢাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছে। রবিবার(২২ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজধানীর গুলশান এলাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
ইএমকে সেন্টারটি হচ্ছে বাংলাদেশী তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পৃক্ততার জন্য বই, ডিজিটাল উপকরণ, আধুনিক মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট ও অনলাইন ডাটাবেসসহ বিস্তৃত সম্পদে অ্যাক্সেস প্রদানকারী একটি কেন্দ্র।
ইএমকে সেন্টারে এআর/ভিআর প্রযুক্তিসহ একটি আধুনিক রেকর্ডিং স্টুডিও এবং ঢাকায় অন্যতম বৃহত্তম একটি ৩ডি প্রিন্টার রয়েছে। এ কেন্দ্রে নবীন শিল্পীদের আলোকচিত্র, পেইন্টিং ও শিল্প কর্ম প্রদর্শন করার সুবিধা রয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাগো ফাউন্ডেশন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগ ইএমকে সেন্টারের লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের আদান-প্রদান উৎসাহিত করা, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উৎসাহিতকরণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার।
মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর শার্লিনা হুসেন-মরগান বলেন, ‘যে তরুণ বাংলাদেশীরা এই দরজা দিয়ে আসবেন, তাদের প্রতি আহ্বান আপনার আগে যারা এসেছিলেন তাদের মতো কাজ করুন- শিখুন, নেতৃত্ব দিন, সম্পৃক্ত হোন এবং সংযুক্ত হোন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে শিক্ষার্থী, গবেষক, শিল্পী ও শিল্প অনুরাগীরা তাদের দিগন্ত প্রসারিত করতে, আলোচনায় যুক্ত হতে এবং শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে এমন প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করতে একত্রিত হতে পারেন।
ইএমকে সেন্টার ইউএস শিক্ষা পরামর্শ কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এতে চারজন আবাসিক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে একাডেমিক অধ্যয়নের আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান করেন।
ইএমকে সেন্টার বিভিন্ন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, উদ্যোক্তা, স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ও গণিত), সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, আমেরিকান সাহিত্য ও ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। এসব কার্যক্রম অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং চিন্তাভাবনা ও ধারণার বৈচিত্র্যের মূল্যায়ন করে।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নকারী প্রাক্তন ছাত্র, সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ছাত্র, এবং শিল্পকলা, সুশীল সমাজ ও সংস্কৃতি কর্মীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইএমকে সেন্টার আমেরিকান দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার একটি প্রমাণ, যা একাডেমিক শৌকর্য ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের জন্য একটি অভিন্ন অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন