বিএনএ কক্সবাজার: কুমিল্লার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সন্দেহে কক্সবাজার থেকে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, ইকবাল হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তার পরিচয় শনাক্তে যাচাই-বাছাই চলছে। তাকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশের একটি টিম আটক যুবককে নিয়ে কুমিল্লার পথে রওনা হয়েছে। কুমিল্লায় পৌঁছানোর পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। সিসিটিভি’র ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কীভাবে, কখন মসজিদে যান এবং বের হন। এরপর মণ্ডপের দিকে যান এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে ফেরেন তা ফুটেজে অনেকটা স্পষ্ট।
সিসিটিভি’র ফুটেজ মসজিদের পাশের পুকুর পাড়ের একটি বাড়ির, মসজিদের একটি ও বাজার, ব্যাংক, সড়কের কয়েকটি স্পটের ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে কোরআন হাতে এবং পরে গদা হাতে দেখা গেছে। বিশেষ করে পুকুর পাড়ের ওই বাড়িটির সিসি ক্যামেরা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় ফুটেজে স্পষ্টভাবে তাকে চিহ্নিত করা গেছে। এরপর অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন নামের সেই যুবককে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও গোয়েন্দারা। দীর্ঘ সময় ফুটেজগুলো অ্যানালাইসিস করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিজ্ঞ টিম।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কুমিল্লার ঘটনার খবর ছড়ানোর পর দেশের কয়েকটি জেলায় উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি