বিএনএ, ঢাকা : ২৫ মে রাত থেকে ২৬ মের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
এদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সপ্তাহজুড়ে নেই বৃষ্টির সুখবরও। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা আরও পরিণত হয়েছে। শনিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সার্বিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নিতে বিকেলে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
এ সময় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ১১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি ত্রাণ গুদাম, ৫টি মুজিব কেল্লাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।
বাংলাদেশের খুলনা থেকে চট্টগ্রাম উপকূল বিস্তৃত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি রকমের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
পূর্বাভাস বলছে, শনিবার রাত থেকে রোববার সকালের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের খুলনা, বাগেরহাট এবং ভারতের উড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে ঝড়ো হাওয়া। ২৬ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে। ওমানের আবহাওয়াবিদরা এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন ইয়াস।
বিএনএনিউজ/জেবি