বিএনএ,ঢাকা:খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসায় সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।সোমবার(২২ ফেব্রুয়ারি)গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন,খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ।তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন, যে চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়।এমন কি যে হাসপাতালে তিনি ছিলেন সেখানেও সম্ভব হয়নি।সুচিকিৎসার জন্য তার দেশের বাইরে যাওয়ার হয়তো দরকার হবে।এই ব্যাপারে সরকারের একটা নিষেধাজ্ঞা আছে,সেটি প্রত্যাহার করা হোক।এই নিষেধাজ্ঞাটা অমানবিক ও অযৌক্তিক।কারণ এদেশের ইতিহাস বলে যে,অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে।এমনকি জেলে থাকা অবস্থায়ও বাইরে যাওয়ার দৃষ্টান্ত আছে।কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে।এই অযৌক্তিক ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা দরকার।খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী,দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ।তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে যে, কখন কোথায় চিকিৎসার জন্য যেতে চান।যেটি প্রয়োজন হবে সেটি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করা সরকারের উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন,দল ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।এটি রাজনৈতিক না, তার চিকিৎসার বিষয়।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের দ্বিতীয় দফা মেয়াদের শেষ প্রান্তে বিএনপির চাওয়া কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে।সরকার তার প্রতি যে আচরণ করছে সেটি প্রতিপক্ষ না,শত্রুর আচরণ।খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত তাদেরও মুক্তি দেয়া হয়েছে।তাই বিএনপি দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি দাবি করছে।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যত্যয় হলে বোঝা যাবে সরকার তার সুচিকিৎসা চায় না’মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন,একজন অসুস্থ মানুষ সুচিকিৎসা না পেলে যেটা হতে পারে সেটা সরকারের বিবেচনায় নেয়া দরকার।জনগণও সেটি বোঝে।
তিনি বলেন,অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিতে নিয়োগ করায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারীকে দলীয় পদে নিযুক্ত করা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা।এটি নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কার্যালয়কে নগ্ন দলীয়করণের অপচেষ্টা ও একটি অত্যন্ত মন্দ দৃষ্টান্ত।দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদের নিরপেক্ষতা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়,সেজন্য এ এম আমিন উদ্দিনকে দলীয় কিংবা অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান।
বিএনএনিউজ/আরকেসি