34 C
আবহাওয়া
২:৩০ অপরাহ্ণ - মে ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাঁশখালীর শুটকি পল্লীর বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না যে কারণে

বাঁশখালীর শুটকি পল্লীর বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না যে কারণে

বাঁশখালীর শুটকি পল্লীর বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না যে কারণে

দোহাজারি(চন্দনাইশ) প্রতিনিধি ॥ উপকূলীয় থানা বাশঁখালীতে শুরু হয়েছে শুটকির উৎপাদন। এ সব ব্যবসায় জড়িতরা এখন দিবা-রাত্রি ব্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই।দিবা রাত্রি হাড়ভাংগা পরিশ্রমের ফসল এই শুটকি আজ আন্তর্জাতিক বাজার দখল করছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানিতে যেন প্রতিযোগিতা চলছে দীর্ঘকাল ধরে।বাশঁখালীর শত শত জেলে অস্থায়ী কেল্লা তৈরী করে কোটি কোটি টাকার মাছ শুকিয়ে শুটকি তৈরি করছে।

কিন্ত মুনাফাখোর দাদন ব্যবসায়িরা প্রতিবছর শুটকির লাভ খেয়ে ফেলায় জেলে ও উৎপাদন কাজে নিয়োজিত উপকূলবাসীদের ভাগ্য অপরিবর্তিত থেকেই যাচ্ছে।  তাদের জীবন মান ও আর্থিক উন্নতি নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রামের বাশঁখালীতে উৎপাদিত শুটকির মধ্যে রয়েছে, চিংড়ি, ফাসিয়া, রুপচাঁদা, বাইলা, লাক্ষা, ছুরি, কামিলা, রুপসা, সুরমা, পোয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এই সুটকি থাইল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, ব্রিটেন, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, মালয়েশিয়াসহ নানা দেশে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে জেলে ও ব্যবসায়ী সমাজ।

বাঁশখালীর উপকূলীয় ইউনিয়নসমূহের মধ্যে নাপোড়া, শিলকুপ, বড়ঘোনা, মনকিরচর, ছনুয়া, গন্ডামারা ছাড়াও কাহারঘোনা মিঞ্জিরিতলা এলাকায় পরিদর্শনে সুটকি উৎপাদনকাজে নিয়োজিত জেলে ও কর্মচারীদের ব্যস্ততম সময় পার করতে লক্ষ্য করা গেছে।

উল্লেখ্য যে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুটকি ব্যবসায়ী বলেন, শত শত মন শুটকি ক্রয় করতে চট্টগ্রাম শহরের আসাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও চকবাজারের গুদাম মালিকরা বাশঁখালীর ব্যবসায়ী ও জেলেদের অগ্রিম দাদন দিয়ে থাকেন।বাজারে শুটকির দাম বৃদ্ধি পেলেও আড়তদারদের অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ব্যবসায়ীরা শুটকি দিতে বাধ্য হন।

ভুক্তভোগি কাহারঘোনার শুটকি ব্যবসায়ী হাসন আহমদ বহদ্দার জানান, মাছ শুকানোর মাধ্যমে শুটকিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর আড়তদারদের কাছে তাদের নির্ধারিত দামে শুটকি বিক্রি করতে হয়। অথচ আমার এই শুটকি পল্লীতে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। তাদের ৫-৬ শ টাকা করে নিত্যদিন বেতন দিতে হয়। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ চালু করলে আামাদের ব্যবসায়ে যেমনি উন্নতি হতো, তেমনি আমরা যথেষ্ট স্বাবলম্বি হতাম, অন্যদিকে রপ্তানিকৃত শুটকির বিনিময়ে কাঙ্খিত মুনাফা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে চলমান ভূমিকাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে সক্ষম হতাম।

ফিশিং ট্রলারের মালিক আবদুল্লাহ জানান, চর থেকে কম দামে শুটকি কিনে গুদামজাত করে থাকি, আর বর্ষাকালে দাম চড়া হলে এসব  গুদামজাতকৃত শুটকি বিক্রি করে থাকি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাশঁখালীসহ পার্শবর্তী মহেষখালী ও সোনাদিয়ার শুটকি মহাল থেকে ফি বছর দেশ ও বৈদেশিক বাজারে আনুমানিক ৬ থেকে ৭ শত কোটি টাকার শুটকি বিক্রি হয়ে থাকে।

বিএনএ,মোঃ হামিদুর রহমান সাকিল,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ