বিএনএ, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম): বেপরোয়া ডাম্প ট্রাক, সিএনজি, অবৈধ অটোরিকশার কারণে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক। এসব যানবাহনের দাপটে প্রায় সময় কারও না কারও প্রাণ যাচ্ছে। আঞ্চলিক এই মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস, গতি নিয়মিত তদারকি না করার কারণে অনেকটা ‘ফ্রি স্টাইলে’ গাড়ি নিয়ে দাপড়ে বেড়ান চালকেরা। যদিও পুলিশ বলছে, চলতি বছরে এ রুটে অন্তত অর্ধশতাধিক অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, হাইওয়ের মতো নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক। ইটভাটার মাটি, বালুবহনকারী ট্রাকের বেপরোয়া চলাচল বেশিরভাগ দুর্ঘটনার কারণ।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় ঘরের পাশে রাস্তায় খেলা করছিলো ৫ বছরের শিশু জুনায়েদ। এসময় ইটবাহী একটি ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জুনায়েদ মারা যায়।
জুনায়েদের বাবার অভিযোগ, প্রথমে ট্রাকের ধাক্কায় সামান্য আহত হয় তার ছেলে। পরে ট্রাক পেছনে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছে করেই পিষে দেয় ওই চালক। ঘটনার পর পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জাহাঙ্গীর নামে ওই ট্রাকচালক সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কের পাশে থাকা একটি ইটভাটা থেকে ইট নিয়ে এলাকায় ঢুকেছিল।
এছাড়া ব্যাটারিচালিত অবৈধ মোটররিকশা, ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে এমন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে, স্থানীয়ভাবে মিমাংসার ফলে যার কোন তথ্য পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত পৌঁছে না। তাছাড়া সাতকানিয়া-গুনাগরি সড়কের ডলুব্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখল, অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে সংকুচিত হয়েছে সড়ক।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পরশে বাংলাদেশ এখন সুসজ্জিত: এমপি নোমান
মাহমুদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এই সড়কে চলাচলকরা অধিকাংশ গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ট্রাফিক পুলিশের আনাগোনা কম থাকায় এই রুটেই তারা গাড়ি চালায়। ইটভাটার ডাম্প ট্রাক ও মিনি ট্রাকগুলো অসম্ভব বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। তাদের কারণেই নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে।
সাতকানিয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, অবৈধ মোটররিকশা, টমটম, ভটভটিসহ অন্তত অর্ধশত যানের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নিয়মিত আমাদের অভিযান চলে।
বিএনএনিউজ/ এসএমএনকে/ বিএম