বিশ্ব ডেস্ক: ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী তিনি। শপথ নেওয়ার ছয় সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। নতুন সরকারের অর্থনৈতিক নীতির চাপে পদত্যাগ করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা। এর পরপরই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সবমিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন- কে হচ্ছেন নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?
ইতোমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে- কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে আবারও নির্বাচনে লড়বেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে এই তালিকায় আছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সানাকও। গত ৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লিজ ট্রাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। সে সময় ২১ হাজারের মতো ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে হেরে যান এই নেতা।
বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ট্রাসের পদত্যাগের সময় দেশের বাইরে ছিলেন বরিস জনসন। তবে পদত্যাগের পরপর দ্রুতই ব্রিটেনে ফিরেছেন তিনি। আর ঋষি সানাকও দলের একই অবস্থানে আছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ে তবে ব্রিটেনে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হয় না। এর পরিবর্তে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের এমপিদের ভোটেই নির্বাচিত হন পরবর্তী ‘কাণ্ডারি’।
এদিকে, ইউগভ নামে একটি সংস্থা নিজেদের করা সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করেছে, এই মুহূর্তে ব্রিটেনে নির্বাচন হলে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সানাক অনায়াসে জিতবেন। কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়বে তার ঝুলিতে।
অন্যদিকে, বরিস আর ঋষি সানাক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় আছেন পেনি মরডান্ট। সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ট্রাসের সঙ্গে লড়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। আরও আছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস, ট্রাসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপসসহ কেমি বেইডনক।
২০১৯ সালে নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর মাত্র আড়াই বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দেন। করোনাকালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পার্টির আয়োজন ছাড়াও নানা কেলেঙ্কারিতে সমালোচিত হয়ে আসছিলেন তিনি। সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনবাসীকে সমৃদ্ধ অর্থনীতি উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ক্ষমতায় আসা জনসন যুগের অবসান ঘটে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ