বিএনএ ডেস্ক: ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালের ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।
দেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি ও বাঙালি মধ্যে সংঘাত ও সহিংসতায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে পাহাড়ের শান্ত জনপদ। প্রথমে খাগড়াছড়িতে সংহিতা দেখা দিলেও তার রেশ ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি জেলায়। পাহাড়ি-বাঙালি দফায় দফায় সংঘর্ষে ইতোমধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ সময় আগুন দেয়া হয়েছে শতাধিক দোকানপাট, বাড়িঘর ও গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে পরস্পরকে দুষছে দুপক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত খাগড়াছড়িতে। সেখানে বুধবার মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। রাতভরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে তিনজন নিহত হন। শুক্রবার এর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও। সেখানে কয়েক দফা হামলা-সংঘর্ষে আরেকজন নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। সংঘর্ষের সময় আগুনে ফাইবার অপটিক-এর ক্যাবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ