25 C
আবহাওয়া
৩:০১ অপরাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দাম কম, হতাশ শার্শার পাট চাষিরা

দাম কম, হতাশ শার্শার পাট চাষিরা

দাম কম, হতাশ শার্শার পাট চাষিরা

বিএনএ যশোর:  যশোরের শার্শায় চলতি বছরে বাগআঁচড়া অঞ্চল সহ উপজেলায় পাট চাষের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও স্থানীয় হাট-বাজারে পাটের দাম কম থাকায় হতাশ পাট চাষিরা। এ বছর ৫ হাজার ৪ শ ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রয় মূল্য কম হওয়ায় পাট চাষিদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার পাট চাষিরা ভোর থেকে পাট বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে নিয়ে আসতে শুরু করেন। আর বেলা ১২টার মধ্যেই পাট বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। উপজেলার ইছামতি নদীর তীরবর্তী পাটের জন্য বিখ্যাত গোগা বাজারে প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে হাজার টাকা হতে এক হাজার সাত শত টাকা। এই বাজারটিতেই গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।

উপজেলার গোগা অঞ্চলের পাট চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর আমাদের অঞ্চলে পাট চাষ ভালো হয়েছে। তবে পাট চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং বাজারে দাম কম থাকায় অনেক কৃষক পাট না কেটে খেতেই নষ্ট করে ফেলেছে। এবছর পাট আবাদ করে আমাদের লোকসান হয়েছে।

বাগআঁচড়া বাজারে পাট বিক্রি করতে আসা কৃষক শাহাজান কবীর বলেন, হাটে এসে পাটের দাম শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। এত কষ্ট করে পাট আবাদ করে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছর যে পাট তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করছি সেই পাট এবছর বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র দেড় হাজার টাকায়।

হাটে আসা পাট ব্যবসায়ী মিন্টু সরদার ও ওমর আলী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর মোকামে পাটের দাম কম। যার কারণে কম দামেই আমাদের পাট কিনতে হচ্ছে। মোকামের বাজার অনুসারে ভালো পাট দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং একটু নিম্নমানের পাট দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে আমাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার শাহ্ ‍ জানান, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজর ৪ শত ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে যারা পাট বিক্রি করেছে তারা ভালো দাম পেয়েছে। তবে এখন হাট-বাজার গুলোতে একটু কম দামে পাট বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বিএনএ/মোঃ সোহাগ হোসেন ,  ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ