বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে নগরীর বাসিন্দা মোরশেদ হোসেন নামের এক কয়েল ব্যবসায়ীকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব হোসেন, একই থানার ৪ জন এসআই, একজন কনস্টেবলসহ বিভিন্ন এলাকার ১৯ জনের নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (কোতোয়ালী জোন) সি.আর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২১ আগস্ট (বুধবার) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগকারী হলেন নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলী মতিয়ারপুল এলাকার মৃত হাকীম শরীফের ছেলে মোহাম্মদ মোরশেদ (৪৮)।
মামলায় ওসি ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সিএমপি বাকলিয়া থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন, এসআই মো. আল ইমরান, এসআই রানা তোষ, অজ্ঞাত আরো এক এসআই ও কনস্টেবল সুকান্ত কুমার ভৌমিক, কালামিয়া বাজার এলাকার মো. আলমগীর ইসলাম, মো. রবিউল হোসেন, আনোয়ারার মো. জাহেদুল ইসলাম, রাজাখালীর মো. আমিরুল কবীর সুমন, মো. সরোয়ার, আনোয়ারার মো. তারেক আজিজ, মো. আবুল কাশেম প্রকাশ পেডু, মো. আবুল বশর, মো. ওসমান, মো. রুবেল, মো. আনিস, মো. নোমান ও কালামিয়া বাজারের মো. মনচুর।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দীন ও বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান।
অভিযোগে এদের সবার বিরুদ্ধে মারধর, অপহরণ, প্রতারণা, জাল-জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এতে প্রথম ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয় ৭ জুলাই বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার ও দ্বিতীয় স্থান দেখানো হয় কোতোয়ালী থানার কোর্টবিল্ডিং চার রাস্তার মোড় দোয়েল ভবন।
মামলার এজাহারে দুইটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে প্রথম ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, বাদী বাড়ী যাওয়ার সময় তার ব্যবসায়িক পাওনা পরিশোধ ও পরিবারের মাসিক খরচ পাঠানোসহ কিছু আত্মীয় স্বজন থেকে ধার নেওয়া টাকা পাঠাতে বিকাশের দোকানে যায়। টাকা পরিশোধ করতে ৬নং আসামীর বিকাশ দোকানে গিয়ে প্রথমবারের মত বাদী ও বাদীর পরিবার-পরিজনের ব্যবহৃত বিকাশ ও নগদ পারসোনাল নাম্বারে টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে বিবাদীরা ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।পরে মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনায় উল্লেখ করা হয়, দ্বিতীয় ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, প্রথম ঘটনায় পর কোর্টে আইনজীবীর সাথে সাক্ষাৎ করে আসার সময় পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর তার থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ বিএম/এইচমুন্নী