সব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছেই। শুধু পাল্টেছে চাঁদাবাজেরা। এ ছাড়া কোনো পার্থক্য নেই। তবে আগের মতো আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে চাইছেন না কেউ। থাকা উচিতও নয়। সারাদেশে চাঁদাবাজির হাত থেকে নিস্তার পেতে চান ব্যবসায়ীরা,সাধারণ মানুষ। যেখানে নির্মাণকাজ সেখানে চাঁদাবাজি চলছে। পাড়ায় পাড়ায় রাতারাতি পার্টি অফিস,সংগঠন কার্যালয় খুলে চাঁদাবাজি চলছে। ব্যস, দোকানের সামনে নেতার ছবি,সংগঠনের নাম দিয়ে একটা ব্যানার ঝুলালেই হয়ে যাচ্ছে পার্টি অফিস।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক ব্যবসায়ীদের মন্তব্য থেকে এ কথা স্পষ্ট হয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে চাঁদাবাজি হতো। এখন আওয়ামী শাসন নেই। খুচরা বাজারে জিনিসপত্রের দাম কিছু ক্ষেত্রে কমেছে , ব্যবসায়িরা জানান চাঁদাবাজি নেই, তাই।
আগের চাঁদাবাজেরা, যারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত, তারাও গা ঢাকা দিয়েছে। এই সুযোগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতা থেকে দূরে থাকা দলের চাঁদাবাজেরা।
আবাসিক এলাকায় অনেককে চাঁদার জন্য হুমকি দিচ্ছে ফোন করে। প্রতিদিন কোন না কোন জায়গায় শত শত মামলা হচ্ছে। মামলার জড়ানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। ভয়ে আছেন অনেক ব্যবসায়ী-সাধারণ মানুষ, যারা কোন দল বাজি করেন না। কেউ কেউ নাকি নীরবে চাঁদাবাজদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন! ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকে।
কোথাও বাস-টেম্পো চালকরা ওঠানামা ১০টাকা নিচ্ছে। ৫টাকার ভাড়া নেই। টোকাই শ্রেণীর তরুণদের দিয়ে চাঁদা তোলা হয়। এরা অতীতেও ছিল এখনও আছে। কেবল লিডার পরিবর্তন হয়েছে।
মানুষ যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে পুলিশসহ সব বাহিনীকেই। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলিষ্ঠ না হলে একদিন এই চাঁদাবাজিই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে রূপান্তরিত হবে আবার।
রেজাউল করিম মধু, টেরিবাজার, চট্টগ্রাম।
মতামতের জন্য সম্পাদক বা প্রকাশক দায়ী নন।