বিএনএ ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে। মহসিন কাজী নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সহযোগিতায় চারদিন আটকে রেখে ওই কিশোরীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) উদয় কুমার মন্ডল জানান, চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, মহসিনের স্ত্রীর নাম মর্জিনা। স্বামী-স্ত্রীর সহযোগিতায় মহসিন বাদেও আরও ২ জন ওই কিশোরীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। ন্যাকারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর-১১ নম্বরের বাউনিয়া বাঁধের ডি ব্লকের ৩ নাম্বার লাইনের ৩ নাম্বার বাড়িতে (আব্বাস মিয়ার বাড়ির নিচতলা)।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম গৃহকর্মী ভাসানটেকে এক বাসায় কাজ করতেন। গত ১৫ জুন রাত ৮টায় গৃহকর্মী ওই বাসা থেকে পালিয়ে ভাসানটেকের দেওয়ানপাড়ায় একটি ব্রিজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। ওই সময় মহসিন ও মর্জিনার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মহসিন ও মর্জিনার সাথে কথা বলার পর রাতটুকু থাকার আশ্রয় চায় ওই কিশোরী। এরপর তাকে চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর কিশোরী সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা হানিফ গত ১৯ জুন চারজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- মহসিন কাজী, তার স্ত্রী মর্জিনা, মাসুদ রানা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
বিএনএ/ এ আর