বিএনএ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তুলে নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল এলাকায় এক পরিত্যক্ত ঘরে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাছান।
আটকরা হলেন- প্রেমিক চুন্নাপাড়া আপাজ উল্লাহ মাঝির বাড়ীর মো. শাহানুর ছেলে রাসেল (২৫), ফকির পাড়া এলাকার মো. নুরুল আলমের ছেলে আরিফ (২৬), চুল্লা জামাইর বাড়ি আব্দুল হামিদের ছেলে মো. শাকিল উদ্দিন টিটু (২০)। তারা সকলেই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা যায়, রোববার (২১ মে) ভোরে ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীর মা রবিজা বেগম (৫০) বাদী হয়ে আটকরাসহ রায়পুর ইউনিয়নের রফিক মাস্টারের বাড়ীর আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল আজিজ (৩৬) এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তার মেয়ে বিউটি (ছদ্মনাম) কর্ণফুলী ইপিজেড সু-ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে। যাতায়াতের সুবাধে স্থানীয় সিএনজি চালক রাসেলের সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০ মে সন্ধ্যায় সু-ফ্যাক্টরী ছুটির পর আরিফ ও রাসেল কৌশলে বিউটিকে সিএনজি করে রায়পুর ইউনিয়নের ওয়াহেদ আলী চৌধুরী হাটে নিয়ে আসে। এরপর শাকিল উদ্দিন টিটু ও আব্দুল আজিজসহ সেখান থেকে রাত ১০টায় সিএনজি করে বিউটিকে রায়পুরের পূর্বের বিল পরিত্যাক্ত মুড়ির ঘরে নিয়ে গিয়ে হাত ও মুখে কাপড় বেঁধে পালাক্রমে রাত ২টা পর্যন্ত চারজনে মিলে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মুখের কাপড় সরে গেলে সে চিৎকার করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেয়।
ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিকসহ তিনজনকে আটক করেছে। আটকদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/এনামুল হক নাবিদ,বিএম