31 C
আবহাওয়া
১:৫৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে ভোজ্যতেল-মুরগির দাম

কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে ভোজ্যতেল-মুরগির দাম

কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে ভোজ্যতেল-মুরগির দাম

বিএনএ,চট্টগ্রাম: ঈদের ছুটি শেষ হলেও নগরীর বাজারগুলো এখনো প্রায় ক্রেতা শূন্য। বাজারে মানুষের আনাগোনা কম থাকায় কমেছে সবজির দাম। যেখানে ঈদের সময় সবজির বাজার চড়া থাকলেও আজকের বাজারে কিছুটা কম দেখা গেছে দাম। প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সপ্তাহখানেক আগেও ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি অধিকাংশ সবজি। এদিকে ঈদের আগে মাংসের দাম বাড়লেও এখন কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে বেড়েছে লেয়ার ও সোনালী মুরগির দাম।

শুক্রবার (২১ মে) চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, চকবাজার, রিয়াজউদ্দিন ও কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এখনো খোলেনি সব দোকান। কিছু দোকান খোলা থাকলেও বাজারে ক্রেতা কম।

বাজারে ৩০-৪০ টাকায় মিলছে বেশিরভাগ সবজি। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। শসা আকারে ছোট বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, আকারে বড় বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ২০ টাকায়, কাকরোল ৪০ টাকায়, ধন্দুল ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ টাকায়, বরবটি ৩০-৪০ টাকায়, পটল ৩০-৪০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩০-৪০ টাকায়, লতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, আলু ২০ টাকায়, পেঁপে ২৫ টাকায়, লাউ ২০ টাকায়, কুমড়ো ২৫ টাকায়, মূলা কেজি ৪০ টাকায় ও ঝিঙা কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন বঙ্গোপসাগরে বন্ধ থাকছে সকল প্রকার মাছ শিকার। এজন্য সপ্তাহের মধ্যে সামুদ্রিক মাছসহ দেশীয় চাষের মাছের দাম বাড়তে পারে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

মাছের বাজারে দেখা যায়, বরফ দেয়া ইলিশ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪শ’ টাকায়। রূপচাঁদা আকার ভেদে ২শ’-৫০০ টাকা, আইড় মাছ ২শ’-২৮০ টাকায়, বাইলা ২১০-২৫০ টাকায়, ছুরি মাছ ১৮০-২৮০ টাকায়, পোয়া মাছ ১৮০-২৮০ টাকায়, লইট্যা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকায় ও চিংড়ি আকারভেদে ১০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই আকারভেদে ১৮০-২৬০ টাকায়, কাতল ২০০-২৮০ টাকায়, মৃগেল মাছ ২০০-২৫০ টাকায়, কার্ফ মাছ ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৈ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, শিং ৫০০-৫৫০ টাকায় ও কেসকি মাছ ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ ১৩০-১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর মাংস হাঁড়সহ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় এবং হাঁড় ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭২০ টাকা পর্যন্ত। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে লেয়ার ও সোনালী মুরগির দাম। এক কেজি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়, সোনালী ২৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় ও ব্রয়লার ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা তানভীর পিয়াল বলেন, বাজারের এখনো সবগুলো দোকান খুলেনি। তবে ঈদের আগের চেয়ে সবজির দাম কমেছে। প্রতিকেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেশিরভাগ কমেছে সবজির দাম। তবে মুরগির দাম বেড়েছে।

মুরগি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল কাদের বলেন, বাজারে লেয়ার মুরগির সংকট রয়েছে, তাই দাম বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে।

এছাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা ও তেলের দাম। রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় ও আদা ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে আবারো ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সব কোম্পানি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার দোহাই দিচ্ছেন বিক্রেতারা। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ৬৬০ টাকা ও পাম অয়েল সর্বোচ্চ ১০৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে এমন অজুহাত দেখিয়ে বিক্রেতারা প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল ১৩৯ থেকে ১৪৪ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত কোম্পানিভেদে ৬৬০ থেকে ৬৮৫ টাকায় ও পাম অয়েল লিটার প্রতি ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. রহিম বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেলের দাম বাড়ার কারণেই দেশিয় বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে এখন খুচরা বাজারেও তেলের দাম বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে দাবি করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস.এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, দেশ তো এখন ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। ব্যবসায়ীরা যে রকম চাইবে, সেরকম করে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে প্রশাসন নিরব। প্রশাসনের কাছে পুনরায় দাবি জানাচ্ছি, যেন তারা নজরদারি বৃদ্ধি করেন।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ