এখন থেকে প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের(জাপেক) নিকট নিবন্ধিত হয়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এ স্কিমের অধীনে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকার চারটি জমার অপশন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার(২০ নভেম্বর) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (জাপেক) এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজীকীকরণের জন্য এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থ বিভাগের অধীনস্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধক মোঃ আবদুছ সামাদ আল আজাদ। এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৯ সাংবাদিক নিহত
গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর শুভ উদ্বোধন করেছেন। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেগুলো হলো-প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্পআয়ের নাগরিকদের জন্য)।
যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ((জাপেক))সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার ফলে এ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ১৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
বিএনএ,জিএন