বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কেন্টাবারির অ্যাসবার্টন লেক অঞ্চলে। যা ক্রাইস্টচার্চ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে আঘাত হানে এই ভূমিকম্পটি। আর ভূমিকম্পটির তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, সুদূর ক্রাইস্টচার্চ এবং উৎপত্তিস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের ডানেডিনে এটির কম্পন অনুভব করেন কয়েক হাজার মানুষ।
তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সবকিছু কেঁপেছে। মাটি থেকে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে এক খামারি লিখেছেন, ‘এটা ছোট কম্পন ছিল না।’
রাজনৈতিক দল গ্রিনের সদস্য ও সাবেক এমপি মোজো ম্যাথার্স বলেছেন, ‘এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে পিল বন খুব কাছে। পুরো বাড়ি কেঁপেছে। রান্নাঘরের ক্যাবিনেটের দরজা খুলে দুলছিল। ক্রাইস্টচার্চ ভূমিকম্পের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’
তবে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
এদিকে ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পই আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে ১৮৫ জন মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা এখনো অনেক মানুষ ভুলতে পারেননি। ফলে যখনই দেশটিতে কোনো ভূমিকম্প সংঘটিত হয় তখনই সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে প্রাথমিক অবস্থায় বলা হয়েছিল, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। পরবর্তীতে এই তথ্য পরিবর্তন করে বলা হয়, এটি ছিল ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। কিন্তু ভূমিকম্প বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা জিউনেট কিছুক্ষণ পর জানায়, বুধবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ২ মাত্রার।
সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত দেশ নিউজিল্যান্ড। যেখানে প্রায়ই টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষ হয় এবং ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির ঘটনা ঘটে।
বিএনএনিউজ/বিএম/এইচ এ মুন্নী