বিএনএ, ডেস্ক : অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অশুভ গোপন জ্বিন ভর করেছে। যদি ওই অশুভ জ্বিন চাপ প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টাকে বিচার. সংস্কার এবং আইন শৃঙ্খলা উন্নতির আগে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য করে, তাহলে সেই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি, চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। টেন্ডারবাজী, রাহাজানি, সন্ত্রাস থেকে এবং বিদেশি আধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র পদ্ধতি হলো- পিআর পদ্ধতি। এই দাবি আদায়ের লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
এ দিকে একই দিন বিকালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারের সৃষ্ট দুটি রাজনৈতিক দল শুধু সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তারা নতুন নতুন তত্ত্ব আনছে। পিআর নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর হচ্ছে নির্বাচনি ব্যবস্থার এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।
বিএনপি সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতের এই তৎপরতাকে দেখছে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল’ হিসেবে। দলটির নেতারা মনে করেন, সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে ‘নতুন ইস্যু’ সামনে এনে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী বলছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে জনমতের প্রতিফলন ঘটছে না বলেই তারা পিআর পদ্ধতি চাইছেন। দলটির নেতারা মনে করছেন ‘কোয়ালিটি নির্বাচনের’ জন্যই নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ক্ষমতার ভাগাভাগিসহ রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য সরকার কিংবা অন্য কারও ওপর চাপ তৈরির জন্যই ‘পিআর পদ্ধতিতে’ নির্বাচনের দাবিটি সামনে আনা হয়েছে।
পিআর পদ্ধতি বনাম প্রচলিত পদ্ধতি নির্বাচন ইস্যুতে জুলাই আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্টত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব না ঘুচলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সংকটে ফেলে দিবে এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব