23 C
আবহাওয়া
১২:৩২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জন নিহত!

হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জন নিহত!


বিএনএ, ঢাকা : ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ই মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ৬১ জনের নামের একটি তালিকা ফের প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। ১৯শে আগস্ট মানবাধিকারের ফেসবুক পেজে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এর একদিন আগে ১৮শে আগষ্ট, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)র চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। আদালত মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া  এই মামলায় অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহাবুব খন্দকার, র‌্যাবের সাবেক প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান জিয়াউল হাসান, মতিঝিল বিভাগের সাবেক ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ওমর ফারুক, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর আহমেদ সহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগস্টে মানবাধিকার সংগঠন  অধিকার  শাপলা চত্বরে  ৬১ জনের নিহত হওয়া সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকারের তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে।

সংস্থাটি আরো জানায়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতাদের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়া দ্বারা নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমন-পীড়ন শুরু করে।

এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদ তাদের উভয়ের জামিন মঞ্জুর করলে গত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ দুজনেই কারাগার থেকে মুক্তি পান।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ২০১৩ সালে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে অধিকার।

প্রসঙ্গত, সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত  এবং ৯ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।  ১৬ আগস্ট থেকে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিএনএনিউজ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ