বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়ে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইওয়াশ করল বাংলাদেশ।
২৯৯ রানের জয়ের লক্ষে খেলতে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে, ৫ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও গড়েন ৫৯ রানের পার্টনারশিপ। এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন তামিম। টিটোয়েন্টি স্টাইলে খেলে ৮৭ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। এরমধ্যে ছিল ৭টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার মার। পরে ৯৭ বলে ১১২ রান নিয়ে আউট হন তামিম ইকবাল। রাউন্ড দা উইকেটে অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল করেন ডোনাল্ড টিরিপানো। নিরীহ এক ডেলিভারি। তামিম জায়গায় দাঁড়িয়ে আলতো করে ব্যাট পেতে দেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের কাছে। টিরিপানোর পরের বলেই আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ২ বলে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ মিঠুন। দু’জনে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। মিঠুন বিদায় নেন ৩০ রান করে। দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দলে জায়গা পাওয়া নুরুল হাসান সোহান অটল ছিলেন। দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সোহান অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। আর আফিফের সংগ্রহ ২৬ রান।
এর আগে হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান পায় তারা। ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার মারুমানিকে ফেরান ব্যক্তিগত ৮ রানে। ২য় উইকেটে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে উঠে আসা চাকাভার সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। এ জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘদিন পর বল হাতে নিয়ে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ককে ফেরান তিনি।
৩য় উইকেট জুটিতে ৭১ রান পায় স্বাগতিকরা। এবারও ব্রেক থ্রু এনে দেন রিয়াদ। মেয়ার্সকে তিনি ফেরান ৩৪ রানে। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মাধভেরেকে ফেরান মুস্তাফিজ। চাকাভা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি। এগোচ্ছিলেন ১ম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাসকিনের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে ৮৪ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এটি তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সিকান্দার রাজা আর রায়ান বার্লের জুটিতে ৬ষ্ঠ উইকেটে ১১২ রান পায় জিম্বাবুয়ে। মূলত এই জুটিটাই বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয় স্বাগতিকদেরকে। ঝোড়োগতিতে ব্যাট চালিয়ে দু’জনই তুলে নেন ফিফটি। ৫৭ রান করা রাজাকে ফেরান মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশের পক্ষে সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ৩ টি করে, মাহমুদুল্লাহ ২, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান ১ করে উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ (চাকাভা ৮৪, মারুমানি ৮, টেইলর ২৮, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৩, রাজা ৫৭, বার্ল ৫৯, জঙ্গুয়ে ৪* টিরিপানো ০, চাতারা ১, মুজারাবানি ০; তাসকিন ১০-১-৪৮-১, সাইফ ৮-০-৮৭-৩, মুস্তাফিজ ৯.৩-০-৫৭-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪৫-২, সাকিব ১০-০-৪৬-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৩-০)।
বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ৩০২/৫ (লিটন ৩২, তামিম ১১২, সাকিব ৩০, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ০, সোহান ৪৫*, আফিফ ২৬*; মুজরাবানি ৮-০-৪৩-০, চাতারা ৮-০-৫৬-০, জঙ্গুয়ে ৭-০-৪৪-১, টিরিপানো ৭-০-৬১-২, মাধেভেরে ১০-০-৪৫-২, রাজা ৫-০-২৩-০, বার্ল ৩-০-২৩-০)।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।