বিএনএ,ঢাকা: স্ত্রী নির্যাতন, ভ্রুণ হত্যা ও দুই বছরের সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে স্বামী মোয়াজ আরিফ, শ্বশুর হাসান আরিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন মোয়াজের স্ত্রী মাধবী আক্তার নীলা।
তবে, নিজের মুখপাত্রের মাধ্যমে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোয়াজ আরিফের পিতা অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ। তার দাবি, এগুলো সব তার ছেলের নামে সাজানো ষড়যন্ত্র। তার ছেলের দুর্নাম রটাতেই এগুলো করা হচ্ছে।
মামলায় নীলা বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী মোয়াজ আরিফ, শ্বশুর হাসান আরিফ, শাশুড়ি পারভীন আরিফ ও ননদ উম্মে হানি তার ওপর নির্যাতন করতেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জেল খাটিয়েছেন। তার দুই বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন। নবজাতক দ্বিতীয় কন্যাসন্তান নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
মামলায় তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমার পেটে লাথি মেরে তিন মাসের একটা বাচ্চা মেরে ফেলেছেন, যা আমাকে ডিঅ্যান্ডসি করতে হয়েছে। আমাকে নির্যাতন করে চুল কেটে দিয়েছেন। আমার গাড়িসহ সবকিছু আটকে রেখেছেন। আমার সিম, মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। আমাকে ও আমার দ্বিতীয় কন্যাসন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।’
রোববার (২০ জুন) বিকেলে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘তদন্ত চলছে। প্রধান আসামি মোয়াজ আরিফের বাসায় অভিযান চালিয়েছি। তাকে পাওয়া যায়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে সাড়া দেননি নিলার স্বামী মোয়াজ আরিফ। তবে তার শ্বশুর হাসান আরিফ তার মুখপাত্র অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমানের মাধ্যমে জানান, নিলার প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা।
নোমান বলেন, ২৯ তারিখ বিকালে আমরা নিলাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি। নিলার এটা চার নম্বর বিয়ে। এ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। উনি কিন্তু প্রথম ঘরে একটি বাচ্চা রেখে এসেছেন। দ্বিতীয় ঘরে বাচ্চাটা নিয়ে এসে একটি শিশুপল্লীতে দিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (১৯ জুন) বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসান আরিফের ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাসার সামনে ১২ দিন বয়সী অসুস্থ কন্যাকে নিয়ে অপেক্ষা করেন নিলা। এরপরও কেউ গেটের তালা না খুললে ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি।
নিলা বলেন, ‘ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ২৩ নম্বরে আমার শ্বশুরবাড়ি। বেলা ৩টা থেকে সেখানে অবস্থান করছি, কিন্তু গেটে তালা। ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আপনেরা সাংবাদিক, আমার জন্য কিছু করেন।
বিএনএনিউজ/মনির