28 C
আবহাওয়া
১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নতুন ঠিকানা পেল মা হারানো জাহিদ হাসান

নতুন ঠিকানা পেল মা হারানো জাহিদ হাসান


বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়কে মা হারানো দেড় বছরের জাহিদ হাসানকে সচ্ছল নি:সস্তান দম্পতির কাছে দত্তক দিয়েছে শিশু কল্যান বোর্ড। সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই শিশুকে হস্তান্তর করা হয়। জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিশু কল্যান সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শিশু জাহিদকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে ১০টি আবেদন জমা পড়ে। ওই সভায় আবেদনকারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়। তবে আদালতের নির্দেশনা থাকায় শিশু জাহিদকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। পরে আজ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিশুটিকে নি:সন্তান সচ্ছল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত প্রথমে শিশুটিকে তার মামা রবিন মিয়ার কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে, তার মামা রবিন মিয়ার আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তিনি একজন ভ্যান চালক। তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে তিনি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাহিদকে নিজের কাছে রাখতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সেই মর্মে ইতোমধ্যে তিনি লিখিত একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন। এরপর শিশু কল্যান বোর্ডের আহবানে দশটি পরিবার জায়েদকে দত্তক নিতে আবেদন করেছিল।

শিশুটিকে দত্তক দেয়ার বিষয়ে শিশুটির মামা রবিন মিয়া বলেন, জাহিদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।

সূত্র মতে, গত ৯ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জায়েদা খাতুন (৩০) ও তার দেড় বছর বয়সী শিশুপুত্র জাহিদ হাসান। সেখানে গত ১০ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জায়েদা। তবে তখনও জায়েদার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জায়েদার মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিছানায় দেড় বছরের স্বজনহীন অজ্ঞাত শিশুর কান্নাকাটি ও চিৎকারের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর জানতে পেরে গত ১১ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিহত জায়েদার ভাই রবিন মিয়া।

পরে রবিন মিয়া ওইদিন বোনের মরদেহ বুঝে পেলেও শিশুটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু হাসপাতালে এসে রবিন মিয়া শিশুটিকে লালন পালন করতে প্রথমে সম্মতি জানালেও পরে তিনি অসম্মতি জানান। এরপর জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিএনএ/ হামিমুর রহমান হামিম, ওজি/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ