বিএনএ ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে সৌদি আরবগামী সব ফ্লাইট আগমী ২৪ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে বিমান বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ হোটেল কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন শর্তারোপ করায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৪ ভ্রমণের জন্য বুকিংকৃত যাত্রীদের হোটেল বুকিং ও পরবর্তী যাত্রার সময় নির্ধারণের জন্য নিকটবর্তী যেকোনো বিমান অফিসে যোগাযোগের করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।আরও তথ্য জানতে বিমানের কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন নতুন করে নিয়ম করেছে যে, কেউ যদি করোনা ভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয় তবে তাকে শাস্তি দেয়ার পর সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে। আর ওই ব্যক্তি কোনও দিন সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি প্রবাসীদের সৌদি আরবে ফিরে গিয়ে সাত দিন নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এছাড়া, হোটেল বুকিং আর ইনস্যুরেন্স যদি না থাকে তাহলে কিছুতেই সৌদিগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে না। গত ১০ মে এ বিধিনিষেধ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন। বলা হয়েছে, যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে যাত্রীকেই।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সৌদি আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যাত্রীকে বোর্ডিং ইস্যু করা যাবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দুবার করোনা টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও করোনা টেস্ট করতে হবে। টেস্ট করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুবার টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে হোটেল কোয়ারেন্টিন থেকে সপ্তম দিনে বাসায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ ডোজ, মডার্না ২ ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ১ ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন।
এমন পরিস্থিতিতে ২০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত বিমানের সৌদিগামী সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হলো। এতে বিপাকে পড়েছেন এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদিতে ফিরতে চাওয়া প্রবাসীরা। আর সেখানে অবস্থা করা বাংলাদেশিরাও দেশে আসতে পারছেন না। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে কিছু দেশ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি