বিশ্ব ডেস্ক: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবারও ভেটো দিয়েছে। এর ফলে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেয়া সত্ত্বেও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হতে পারেনি। ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। সূত্র: আল জাজিরা।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য। ২০১১ সালে ফিলিস্তিন প্রথম জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের আবেদন করেছিল; কিন্তু আমেরিকার বিরোধিতার কারণে তখন সে আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় ফিলিস্তিন।
পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর ধরে লবিং করে আসছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ড. রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ‘আমরা পূর্ণ সদস্য হতে চাইছি। এটা আমাদের স্বাভাবিক ও আইনগত অধিকার।’
গত অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যা ও অপরাধযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের প্রতি সৃষ্ট সহানুভূতির পরিপেক্ষিতে চলতি মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে আবার ওই আবেদন উত্থাপিত হয়।
সাধারণ পরিষদ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে একটি নতুন সদস্য রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে, তবে তা নিরাপত্তা পরিষদ এ ব্যাপারে সুপারিশ দেওয়ার পর।
ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারে মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকার অর্জনের পথ রুদ্ধ করেছে এবং এর ফলে ফিলিস্তিনি জাতির ৭৫ বছরের টানা দুঃখ-কষ্ট চলতেই থাকবে।
পার্সটুডে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছিল যে, ইসরাইলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান করতে হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের ভোটাভুটিতে ভেটো প্রদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের মুখোশ উন্মোচন করে বলে দিল যে, ওয়াশিংটন মুখে যাই বলুক না কেন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সে চায় না।
ফিলিস্তিন ছাড়াও ভ্যাটিক্যান জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার ১৯ এপ্রিল রাতে জানায়, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গত ৭ অক্টোবর হতে গাজায় ৩৪,০০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।
ওআইসির নিন্দা
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি। শুক্রবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার জাতিসংঘের সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। যেসব দেশ জাতিসংঘ সনদের শর্তাবলী মেনে চলবে সেসব দেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করবে।
এসজিএন