বিএনএ, ঢাকা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাবেক স্ত্রীর করা মামলার আসামি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম মামুনুর রশীদকে সংস্থাটি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এবং তিনি পরোয়ানা নিয়েই অফিস করছিলেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এক অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেন। দুদক পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) দাউদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, এস এম মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি অফিস করছেন দুদকে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তিনি নিয়মিত অফিস করছেন। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুক্তভোগীকে হেনস্তা করেছেন।
দুদক বলছে, এস এম মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন মিম কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত, ২০০৩) এর ১১ (খ) / ৩০ ধারায় (যৌতুকের জন্য মারধর করে গুরুতর জখম ও সহায়তার অপরাধ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, সিরাজগঞ্জ এর নারী ও শিশু পিটিশন মামলা নম্বর-৮৫ / ২০২৪ দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গত ২২ অক্টোবর তারিখের তদন্ত প্রতিবেদনে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাসেল মাহমুদ উল্লেখ করেন, ‘উপস্থাপিত কাগজাদি ও পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনায় আসামি এস এম মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে আনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/ ০৩) এর ১১ (খ) ধারার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
দুদক বলছে, মামুনের কার্যকলাপে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তার কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ এর ২ (ঝ) (৫) অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি অনুযায়ী খোরাকী ভাতা প্রাপ্য হবেন। সাময়িক বরখাস্তের এ আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এস এম মামুনুর রশীদ ২০২২ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে দুদকে যোগ দেন।
বিএনএনিউজ / আরএস/শাম্মী