22 C
আবহাওয়া
১০:৩১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হালচাল : সংসদীয় আসন-৭ (দিনাজপুর-২) (ভিডিও)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হালচাল : সংসদীয় আসন-৭ (দিনাজপুর-২) (ভিডিও)


বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম  দ্বাদশ(১২তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী হালচাল প্রকাশ করছে। আজ থাকছে দিনাজপুর-২ আসনের হালচাল।

YouTube player

দিনাজপুর-২ আসন

দিনাজপুর-২ আসনটি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ ও বিরল উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৭ নম্বর সংসদীয় আসন।

প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আনিছুল হক

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি রংপুর-৭ নামে পরিচিত ছিল। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৬৯ হাজার ৫ শত ৬৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিছুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬১ হাজার ৩ শত ৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ন্যাপ মোজাফফর এর আব্দুল জব্বার সরকার। কুঁড়েঘর প্রতীকে তিনি পান ৮ হাজার ১ শত ৮৫ ভোট।

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন সতীশ চন্দ্র রায় 

১৯৭৯ সালের ১৮  ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি দিনাজপুর -৭ নামে পরিচিত ছিল। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৩ শত ৭৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৬৪ হাজার ৫ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শ্রী সতীশ চন্দ্র রায় বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২০ হাজার ৩ শত ৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১৫ হাজার ৬ শত ৬২ ভোট।

তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন শ্রী সতীশ চন্দ্র রায় 

১৯৮৬ সালের ৭মে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর আগে এ আসনটিকে দিনাজপুর-২ নামকরণ করা হয়। নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯২ হাজার ৫৯ জন। আওয়ামী লীগের শ্রী সতীশ চন্দ্র রায় বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ৯ শত ৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির হাজী দানেশ আলী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ১ শত ৪২ ভোট। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন রিয়াজুল হক

১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ জনগণের কাছে পরিচিত রাজনৈতিক দল গুলো অংশগ্রহণ করেনি। জাতীয় পার্টির রিয়াজুল হক চৌধুরী বিজয়ী হন। তিনি পান ৮৩ হাজার ৩ শত ৯২ ভোট। তার এক মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত বিরোধী দলীয় প্রার্থী আব্দুল হাই। তিনি পান ৭ হাজার ১ শত ২২ ভোট।

পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সতীশ চন্দ্র রায় বিজয়ী

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫ শত ৪৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৯ শত ২৫ জন। আওয়ামী লীগের সতীশ চন্দ্র রায় বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৯ হাজার ৪ শত ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির রিয়াজুল হক চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৫ শত ৮ ভোট।

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতীশ চন্দ্র রায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম সংসদ নির্বাচন। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ৩০ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮ শত ৯৩ জন। আওয়ামী লীগের সতীশ চন্দ্র রায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ৫৫ হাজার ৫ শত ৫১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির রিয়াজুল হক চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪৭ হাজার ৬ শত ১১ ভোট।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন মাহবুবুর রহমান

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৬ শত ৫৫ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭ শত ৪১ জন। এ আসনটির দখল হারায় আওয়ামী লীগ। সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। প্রথমবার নির্বাচন করেই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৯ হাজার ৪ শত ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সতীশ চন্দ্র রায়। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭১ হাজার ২ শত ২৯ ভোট।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচিত

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ১ শত ৪৩ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৪ শত ২২ জন। আওয়ামী লীগ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে প্রার্থী বদল করে আওয়ামী লীগ। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৮ হাজার ১ শত ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মাহবুবুর রহমান। ধানের শীর্ষ প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৪ শত ১৫ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পুন:নির্বাচিত

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি –জামায়াত ইসলামীসহ তাদের সমমনা দলগুলো। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৫ শত ৭৯ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে সাদিক রিয়াজ, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির জুলফিকার হোসেন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলমী আন্দোলনের হাবিবুর রহমান এবং হারিকেন প্রতীকে মুসলিম লীগের এরশাদ হোসেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালিদ মাহমুদ বিজয়ী হন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী তিনি পান ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬ ভোট। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী সাদিক রিয়াজ পান ৪৮ হাজার ৮শত ২২ ভোট। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করে। এই আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বর্তমানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী।

দিনাজপুর-২ আসন আওয়ামী লীগের দূর্গ

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বিজয়ী হন। শুধুমাত্র চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হন। সেই সূত্রে বলা যায় এটি আওয়ামী লীগের দূর্গ।

দিনাজপুরের আসন সংখ্যা কত

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় জাতীয় সংসদ এর ছয়টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এগুলো হল দিনাজপুর-১,২,৩,৪,৫,৬।

বিএনএনিউজ২৪/ এসজিএন, ওয়াইএইচ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ