19.5 C
আবহাওয়া
৫:২৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এসি-টেলিভিশন লুটপাট:জাফরুল্লাহকে অব্যাহতি

এসি-টেলিভিশন লুটপাট:জাফরুল্লাহকে অব্যাহতি

এসি-টেলিভিশন লুটপাট:জাফরুল্লাহকে অব্যাহতি

বিএনএ, ঢাকা ( আদালত প্রতিবেদক) :  ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হাজী এফাজ উদ্দিন মার্কেটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি)-টেলিভিশনসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগে করা মামলা থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ ২১ জনকে।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদ মিয়া। আগামী ২৫ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ও তার ভাই আবু বক্কর সোহেল ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে হাজী এফাজ উদ্দিন মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কতিপয় আসামি মামলার বাদীর মার্কেট ও সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট মামলার এজাহারনামীয় আসামি সাইফুল ইসলাম শিশির, ডা. আব্দুল কাদের, আব্দুস সালাম, শেখ মো. আলমগীর হোসেন, সোহেল, আওলাদ হোসেন, রাসেল, মীর মোর্তুজা আলী বাবু, ডা. রেজাউল হক, ইসরাফিল, জুয়েল রানা, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম, তোতলা কালাম, আব্দুস সামাদ, মুজাহিদ, ইকরাম হোসেন, আরিফ, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল লফিত, আব্দুল রহিম ও ইকবাল হোসেন ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভেকু মেশিন নিয়ে ওই মার্কেটের ২০টি দোকানঘর ও আবসাবপত্র ভাঙচুর করেন। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
আরও বলা হয়, ওই সময় বাদীর মার্কেটে থাকা ফুড প্যালেস হোটেল মালিক সাজ্জাদ হোসেন সজিদ বাধা দিলে আসামিরা তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এক পর্যায়ে আসামি সোহেল হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এছাড়া আসামিরা ফুড প্যালেস হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান থেকে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যান। সেসময় মামলার বাদী ও মার্কেটের দোকান মালিকরা এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। তবে তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২১ আগস্টের ওই ঘটনার পরদিন ২২ আগস্ট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আসামিদের অভিযুক্ত করে আশুলিয়া থানায় ওই মামলা করেন নাসির উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
বিএনএ নিউজ/এসবি,ওজি 

Loading


শিরোনাম বিএনএ