বিএনএ,স্পোর্টসডেস্ক : তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় পাকিস্তানের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেড়িয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৭ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। পরে ফখর জামান ও খুশদিল শাহ’র ব্যাটে ভর করে ৪ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন হাসান আলী।
দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান দলীয় রান ২২ হতেই হারায়। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত দুই বলে দলের সেরা দুই হিটার বোল্ড হলে দল চাপে পড়ে যায়।
দলীয় ২৩ রানে হায়দার আলী ও ২৪ রানে শোয়েব মালিক সাজঘরে ফিরলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। মালিকের উইকেট ছিল বেশ চমক জাগানিয়া। নুরুল হাসান সোহানের বিচক্ষণতায় দারুণ থ্রোতে রানআউট হন হেয়ালি মালিক। ফখর জামান ও খুশদিল শাহ দেখে শুনে রান তুলতে থাকেন। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন ফখর, হাঁকান চারটি চার। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৪ রান করা খুশদিলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তবে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিং সব হিসাবনিকাশ ওলটপালট করে দেয়। মুস্তাফিজ ও শরিফুলের বিপক্ষে তাদের মারকুটে ব্যাটিং পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরায়।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল দুই রান। ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন শাদাব। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। তাদের ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে নাঈমের সঙ্গে অভিষেক হওয়া সাইফ হাসান। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ১ রান করে ফিরেন মোহাম্মদ নাঈম। হাসান আলীর বলে উইকেটের পিচনে ক্যাচ আউট হন এই ওপেনার।
আরেক ওপেনার সাইফের অভিষেকটা ভালো হয়নি। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে স্লিপে ক্যাচ দেওয়ার আগে খেলেন ৮ বলে ১ রানের ইনিংস। পরের উইকেট নেন কারো সাহায্য ছাড়াই ওয়াসিম। নাজমুল হোসেন শান্তকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন তিনি। দীর্ঘদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটার করেন ৭ রান।
১৫ রান তুলতে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে আফিফকে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ । কিন্তু জুঁটি বড় করতে পারেন নি তারা। নবম ওভার করতে আসা মো: নেওয়াজের বলে বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ। ভাঙ্গে ২৫ রানের এই জুঁটি।
এরপর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন আফিফ। তার ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু শাদাব খানে গুগলিতে বোকা বনে যান তিনি। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে করেন ৩৪ বলে ৩৬ রান।
আফিফের বিদায়ের পর রানের চাঁকা সচল রাখার চেষ্টা করেন সোহান । তিনি করেন ২২ বলে ২৮ রান। শেষ দিকে টাইগারদের একাই এগিয়ে নেন মাহেদী হাসান। এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
শেষ বলে তাসকিন ছক্কা হাঁকালে লড়াই করার মতো সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান আলী। এছাড়া ওয়াসিম দুটি, নওয়াজ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।