আদালত প্রতিবেদক: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া বন্ধ চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ কার্যক্রম চলছে। এ মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে বাদীপক্ষের ১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুন বিচারিক আদালত এক আদেশ দেন। সেই আদেশ সূত্রে গত আগস্টে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদনের ওপর ১৭ ও ১৮ অক্টোবর শুনানি হয়।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহায়তা করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে শুনানির বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের শুনানি আজ শেষ করতে পারিনি। পরবর্তী শুনানি আগামী ১ নভেম্বর। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কারণে ভিকটিম করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে এ আদালতেই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা বিচার বিভাগের ইতিহাসে লেখা থাকবে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেই রায়ে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করে, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সমাজের উচ্চশ্রেণির লোককে নাজেহাল করা হয়েছে। এখনো দুদককে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন আর মাইনাস টু-এর জন্য নয়। সেই মাইনাস টু-এর একজন যিনি ছিলেন শেখ হাসিনা তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করছেন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এই সাবমিশনই আজ আমরা আদালতে রেখেছি।
আরও পড়ুন: গাজায় ২০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর অনুমতি
গত মঙ্গলবারের শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনা নিয়ে ১৯ নম্বর মামলা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং ২০ নম্বর মামলা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এখন এ মামলার মাথা নেই, বডি আছে। এখন প্রশ্ন এ মামলা চলবে কি? এখানে ভবিষ্যৎ দেখবে বিচার বিভাগ কী করেছে। জুডিসিয়ারির অবস্থা আমরা ভবিষ্যতে দেখবো।
গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
বিএনএনিউজ/ শহীদুল ইসলাম/ বিএম