বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের ট্রাফিক বক্সে হামলা-ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার জনি ইসলাম ও রাসেল মিয়া দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
তাদের স্বেচ্চায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) একদিনের রিমান্ড শেষে গ্রেফতার সাতজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— সুরুজ কাঙ্গালী, আক্তার, শমসের উদ্দিন, রনি, কালিম, মাসুদ রানা ও শাম।
নথি থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার মিরপুরে অভিযান চালিয়ে দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। এর পরে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিরপুর ১২, কালশী মোড়, সাগুফতা মোড়, মিরপুর ১০, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে প্রায় একই সময়ে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা ভ্যান ও রিকশায় করে ইটপাটকেল নিয়ে আসেন। তাঁরা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান। এতে কনস্টেবল মিজানুর রহমান আহত হন।
এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় পুলিশের কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ