বিএনএ ডেস্ক: সড়কে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় দাম কমলেও রাজধানীর বাজারে উল্টো চালের দাম বাড়তি রয়েছে। মানভেদে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। দাম স্বাভাবিক করতে বাজারে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিবহন খরচের অজুহাতে সারা দেশেই বাড়ে চালের দাম। জেলা শহরে সেই দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও রাজধানীতে চালের দাম কমেনি।
নওগাঁয় চিকন ও মোটা চালের দাম কেজিতে কমেছে ১ থেকে ২ টাকা। জেলার চালকল মালিকেরা বলছেন, সড়কসহ বিভিন্নস্থানে চাঁদাবাজি কমে যাওয়ায় দাম কমছে।
জেলা চাল কল মালিক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, চাঁদাবাজি না থাকার কারণে চালের কেজিতে কমপক্ষে ১ টাকা কমেছে। বস্তায় সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কমেছে।
এদিকে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। মাঝারি মানের চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও মোটা চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল ২ সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ দাম কমে আসতে পারে।
বাজারে চাল নিতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমি আগে যে চাল নিতাম ৫০ টাকায়, এখন তা নিচ্ছে ৫৮ টাকা।
অন্য এক বিক্রেতা বলেন, মিনিকেট চালের দাম এখনও কমেনি। তবে সামনের কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম কমার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, পরিবহনে খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং চালের বাড়তি দাম ঠেকাতে বাজারে শিগগির অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার।
ভোক্তা অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা যখন যাই, তখন কিছু কিছু ব্যবসায়ী পরিবহনের খরচের কথা বলে। কিন্তু পরিবহন সংক্রান্ত যে ভাউচার সেটা তারা দেখাতে পারেন না। এটা তারা গোপন করে রাখেন। একটা কালচার তৈরি হয়েছিল যে, পাইকারি ব্যবসায়ী খুচরা ব্যবসায়ীকে দোষারোপ করে, আবার খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীকে দোষারোপ করে। এটা থেকে আমরা তাদের বের করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি চালের দামও কমে আসবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে সরকারের গুদামে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৪ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল মজুত ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪৬ টন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ