বিএনএ, ঢাকা: পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন কাউকে না জানিয়ে গত ১৯ মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ২৮ বছর বয়সী সাফায়েত হোসেন। দুদিন খোঁজাখুঁজির পর বাবা ইসহাক মিয়া জানতে পারেন ‘দালালের খপ্পরে’ পড়ে নৌপথে মালয়েশিয়া রওয়ানা হয়েছে তার ছেলে। এর কিছুদিন পর ইসহাক জানতে পারেন, পথে মিয়ানমারে আটক হয়েছেন তার ছেলেসহ ১৯ জন। তাদের দেশটির কোনো এক কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সাফায়েতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের চৈতনকান্দা গ্রামে। স্থানীয় একটি তাঁত কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সাফায়েতসহ বিশনন্দী ইউনিয়নের আরও ১৮ যুবক দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে আটক হয়ে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের।
ভুক্তভোগী ১২ যুবকের পরিবারের সদস্যরা ১০ জুলাই আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তারা তাদের স্বজনদের ফিরে পেতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানান।
পরিবারগুলোর অভিযোগ, স্থানীয় একটি দালালচক্রের প্রলোভনে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নৌপথে রওয়ানা দিয়ে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি ১২ যুবক। তাদের সেখানে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে মিয়ানমারে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি ও সেখানে নির্যাতনের ফলে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক একটি মানবপাচার চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার নাম মো. ইসমাইল। এসময় তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন জানান, মালয়েশিয়ায় উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ১৯ যুবককে মিয়ানমারে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সেখানে নির্যাতনের ফলে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই সহযোগীসহ আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মূলহোতা মো. ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/এমএফ