40 C
আবহাওয়া
৪:৫৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইউএনও’র বাসভবনে হামলা: থমথমে বরিশাল, আটক ১৩

ইউএনও’র বাসভবনে হামলা: থমথমে বরিশাল, আটক ১৩

ইউএনও'র বাসভবনে হামলা: থমথমে বরিশাল, আটক ১৩

বিএনএ বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দু’টি দায়ের করে।

সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

গ্রেফকৃতদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ ওরফে বাবু, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অলিউল্লাহ অলি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউএনও’র বাসভবনে হামলার জের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশালের সকল রুটে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা। পরে মেয়রের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলে দুপুর দেড়টার দিকে আবারও বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

এদিকে সকালে নগরের কালীবাড়ি সড়কে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাড়ির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য দেখা যায়। দুপুরের দিকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেলেও র‍্যাবের কিছু সদস্য সেখানে অবস্থান করছিলেন। সে সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস মেয়রের বাড়িতে প্রবেশ চাইলেও তিনি প্রবেশ করতে পারেননি। পরে সাংবাদিকদের সামনে  ‘পুলিশি নির্যাতনের’ নিন্দা জানান তিনি।

মেয়রের বাড়ির সামনে পুলিশ ও র‍্যাবের উপস্থিতির বিষয়ে ওসি নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার রাতের ঘটনায় জড়িত আসামিরা সেখানে অবস্থান করছেন বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাদের গ্রেফতারের জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কাউকে না পাওয়ায় পুলিশ চলে আসে।

এর আগে বুধবার রাতে বরিশাল সদর থানার ইউএনও মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে দুই দফা হামলা চালান জেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী। সে সময় ইউএনও’র বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। ছাত্রলীগের দাবি, এই সময় তাদের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার শুভেচ্ছা ব্যানার অপসারণের কাজ শুরু করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারী। ওই সময় ইউএনও’র কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান এবং সকালে এসে কাজ করার জন্য বলেন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমেদ ওরফে বাবুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে যান। আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদেরও কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও’র বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তারা পুলিশের ওপরও চড়াও হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে দুই পুলিশ সদস্য এবং ইউএনওর সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য আহত হন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ