বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ইপিজেডের অভ্যন্তরে মরিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। তাদের বিক্ষোভে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর থেকে তাদের এ সড়ক অবরোধের জেরে ইপিজেড এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই মরিজ লিমিটেডের শত শত শ্রমিক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের কণ্ঠে ছিল মাসের পর মাস বেতন না পাওয়ার ক্ষোভ ও হতাশা। শ্রমিকরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, যার ফলে ইপিজেডের প্রধান সংযোগ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। অবরোধের কারণে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে ধৈর্য ধরে কথা বলার চেষ্টা করছে এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। তবে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা অর্থাৎ বকেয়া বেতন অবিলম্বে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি ছাড়া রাস্তা ছাড়তে নারাজ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোহেল কবীর বলেন, ‘মরিজ নামের একটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে তারা রাস্তায় নেমে পড়েছে। তাদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে এবং গার্মেন্টেসের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, কিছু সময়ের মধ্যে একটা সমাধান আসবে।’
তিনি আরও জানান, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, বেলা বাড়লেও অবরোধ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ