বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭শ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল গুলোর আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে সিরাজগঞ্জ ৬ আসনের হালচাল।
সিরাজগঞ্জ- ৬ আসন
সিরাজগঞ্জ ৬ সংসদীয় আসনটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৬৭তম আসন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলা পৃথক আসন ছিলো। তখন সিরাজগঞ্জ-৬ ছিলো চৌহালি উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলাকে একত্রিত করে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আনসার আলী সিদ্দিকী বিজয়ী হন
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯১ হাজার ১ শত ৩৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৭৫ হাজার ৩ শত ৮৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির আনসার আলী সিদ্দিকী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১৫ হাজার ৪শত ৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শাহজাহান। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১২ হাজার ৪ শত ৬৮ ভোট।
৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে বিএনপির আনসার আলী সিদ্দিকীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে ক্ষান্ত হননি, প্রতিহতও করেন। এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে বিএনপির আনসার আলী সিদ্দিকীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শাহজাহান বিজয়ী হন
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ২৪ হাজার ১ শত ৫৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৭৮ হাজার ৭ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শাহজাহান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২৯ হাজার ৫ শত ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির একেএম মাহবুবুল ইসলাম। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৬ হাজার ৮ শত ৫৫ ভোট।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদের বিজয়ী হন
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১০ হাজার ৯ শত ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭ শত ৪৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদের বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৬ হাজার ৪ শত ৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আবু বক্কর সিদ্দিকী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ১ শত ৫৮ ভোট।
নবম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চয়ন ইসলাম নির্বাচিত
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯ শত ৬৩ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৬ শত ৮৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চয়ন ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪ শত ৮৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির কামরুদ্দীন এহিয়া খান মজলিস। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৭ হাজার ৮ শত ৭৫ ভোট।
একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের হাসিবুর রহমান স্বপন বিজয়ী হন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ১ হাজার ২ শত ৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬ শত ২৬ জন।
নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের হাসিবুর রহমান স্বপন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির এম এ মুহিত, হারিকেন প্রতীকে মুসলিম লীগের হাবিবুর রহমান, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিসবাহ উদ্দিন, মই প্রতীকে বাসদের আব্দুল আলিম ফকির এবং সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাসিবুর রহমান স্বপন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭ শত ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এম এ মুহিত, ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৪ হাজার ৬ শত ৯৭ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
হাসিবুর রহমান স্বপন প্রথম রাজনৈতিক জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর ছিলেন শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শিল্প-উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। হাসিবুর রহমান স্বপন ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসিবুর রহমান স্বপন তুরস্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ২ নভেম্বর ২০২১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১০ হাজার ৫শত ৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. মোক্তার হোসেন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৫ শত ৩৫ ভোট।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর সংসদীয় আসনে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হন।
দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর সিরাজগঞ্জ- ৬ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৩৯.৪৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬.৫৪%, বিএনপি ২০.৪৭%, জামায়াতে ইসলামী ১৩.৬৯% জাতীয় পার্টি ৪.২৬ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৪৫.০৪% ভোট পায়।
১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৩.৪৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৭.৫৬%, বিএনপি ৩৪.০৯%, জামায়াতে ইসলামী ৮.৯৮%, জাতীয় পাটি ৩.৮৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৫.৫৪% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৬.২৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৭.০৮%, ৪দলীয় জোট ৬৪.৪২%, জাতীয় পার্টি ৮.০২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৪৮% ভোট পায় ।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯১.৪২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৩.৪৩%, ৪ দলীয় জোট ৪৩.৮২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ২.৭৫% ভোট পায়।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মাযহারুল ইসলামের কন্যা। তার চাচা আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতার ভাই সিরাজগঞ্জ-৭ ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নেতা ড. সাজ্জাদ হায়দার খান লিটন, প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিবুর রহমান স্বপনের মেয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফেরদৌসী রহমান শান্তা। শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের স্পেশাল পিপি শেখ আবদুল হামিদ লাবলু, শাহজাদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরু লোদী।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এম এ মুহিত। শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হুসেইন শহীদ মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার ও হুমায়ুন কবির, সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম সালাম।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি মোক্তার হোসেন। জাসদ থেকে মনোনয়ন চাইবেন শাহজাদপুর উপজেলা সভাপতি শফিকুজ্জামান শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন শাহজাদপুর উপজেলা সভাপতি আলহাজ মেছবাহ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসাইন দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনটিতে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে কখনো বিএনপি কখনো আওয়ামী লীগ। দুই দলেরই সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত। আওয়ামী লীগ উন্নয়ন কর্মকান্ড ও কর্মসূচীর মাধ্যমে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। বিএনপি সরকারের বিভিন্ন সমালোচনার মাধ্যেম নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন।
এই আসনে জাতীয় পাটির সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক তৎপরতা দৃশ্যমান না হলেও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা মিলিত হয়ে সরকার বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামীর নিরব ভোটারা বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসাবে কাজ করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৬৭ তম সিরাজগঞ্জ ৬ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
বিএনএ/ শিরীন,ওজি, ওয়াইএইচ