বিএনএ, ফেনী : ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণকালের বৃহত্তম ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদগাজী হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ছাড়াও মহামায়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ড ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মহামায়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিনুর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গরীব শাহ হোসেন চৌধুরী বাদশা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সির (বিএনএ) সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মজুমদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি তাজুল ইসলাম মামুন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাষ্টার আবুল কালাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ মাহি রাসেল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এত সুন্দর, সুশৃংখল নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে মহামায়া ইউনিয়নের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিল আর কখনো হয়নি। চাঁদগাজী হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পুরো প্যান্ডেল কানায় কানায় ভর্তি হয় আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোজাদাররা ইফতার করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাগলনাইয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেছেন, স্বল্প আয়ের মানুষকে মূলধারায় ফেরাতে আমাদের সকলকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিত্তবানদের সহযোগিতায় কিছুটা হলেও বদলে দিতে পারে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র। আজকের অনুষ্ঠানটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
মহামায়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আগত সকলকে স্বাগত জানান প্রধান আলোচক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সির (বিএনএ) এর সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, “মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় আমরা মুসলমানরা এক মাস ধরে রোজা পালন করি, যার মূল দর্শন হলো আত্মসমর্পণ। এর মধ্য দিয়ে ধৈর্য, সংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আনুগত্য এবং আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধায় সৌহার্দ্য, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পায়। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের প্রসার হয়”।
বিএনএনিউজ/এবিএম নিজাম/এইচ.এম।