বিএনএ, সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাটির প্রলেপ জমেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইটভাটার জন্য ট্রাকে পরিবহনের সময় সড়কে নরম ও কাদাযুক্ত মাটি পড়তে পড়তে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর মাটির ওই প্রলেপের ওপর রবিবার(১৯ মার্চ ২০২৩) সকালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সড়ক হয়ে যায় পিচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে এ সড়ক পরিণত হয় মরণফাঁদে। এর ফলে সকাল থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
এ সময় সড়কের দুপাশে ৪-৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ যাত্রী ও পথচারীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। দুপুরে বৃষ্টির ফোঁটা কমলে সড়ক কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীর দোকান, নয়াখাল, আন্দার মা’র দরগাহ ও কেরানীহাট গরুর বাজারে গাড়ি যানজটে আটকে পড়ায় এই মহাসড়ক পথে চলাচলরত পর্যটকবাহী যানবাহন ও অন্যান্য জেলা-উপজেলার গাড়ির যাত্রীরা পায়ে হেঁটেই গন্ত্যবে যাচ্ছেন। কিছু গাড়ি পিচ ঢালাসড়ক থেকে নিচে মাটিতে নেমে যাচ্ছে।
বাসের যাত্রী মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, সড়কে মাটির প্রলেপ জমেছে কয়েক মাস ধরে। আজ রবিবার সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজটে কেরানীহাট থেকে চট্টগ্রাম যেতে এক ঘণ্টা পরিবর্তে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
কালিয়াইশের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াছ বাবুল জানান, কেঁওচিয়া, তেমুহনী ও কালিয়াইশের বিল থেকে মাটি কেটে মহাসড়ক দিয়ে পরিবহন করায় সড়কে মাটি পড়ে। আজ সকালে সামান্য বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমি জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য বের হই। কাঁদায় সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় মৌলভীর দোকান থেকে কোন রকম হেঁটে অনেক কষ্টে কেরানীহাট পৌঁছায়। এসময় দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
একটি বাসের সুপারবাইজার এনামুল হক বলেন, মাটি পরিবহণের ফলে বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় যানজটে আটকা পড়েছি ৩ ঘন্টা ধরে। যাত্রীরা নেমে হেঁটে গেছেন। গাড়ি চলতে গিয়ে গাড়ি সড়ক থেকে নেমে যাচ্ছে। সড়ক দিয়ে মাটি পরিবহণ বন্ধ না করলে বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, সকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সড়কে পরিবহন একটু ধীরগতিতে চলেছে।
বিএনএনিউজ২৪, এসএমএনকে,জিএন