31 C
আবহাওয়া
১২:১৭ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাতিল হলো কুবি শিক্ষকের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ

বাতিল হলো কুবি শিক্ষকের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ


বিএনএ,কুবি: প্রায় চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। তবে নির্ধারিত সময়ে ডিগ্রি শেষ করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উপ-পরিচালক মুশফিকা ইফফাত স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তার ফেলোশিপ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

নোটিশে বলা হয় , মেহেদী হাসান, সহকারী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে (তৎকালীন পদ) অস্ট্রেলিয়ার ম‍্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে ১ বছর ৬ মাস মেয়াদী মাস্টার অফ বিজনেস এনালেটিকস কোর্সে অধ্যয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০১৯-২০ (২য় পর্যায়) প্রদান করা হয়। বর্ণিত ডিগ্রী অর্জনের জন্য ১.৫ বছরে তাঁর ১২টি ইউনিট/ কোর্স অধ্যয়নের শর্ত থাকলেও তিনি ১ম বছরে মাত্র ১টি ইউনিট/কোর্স সম্পন্ন করেন।

নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, তিনি (মেহেদী হাসান) আত্মীয়-স্বজনের অসুস্থতার কারণে নির্ধারিত কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি উল্লেখ করে কোর্স সম্পন্নের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নির্বাচন কমিটি আবেদনে উল্লেখিত কারণসমূহ যৌক্তিক নয় বিধায় ফেলোশিপ বাতিলের সুপারিশ করে। পরবর্তিতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ স্টিয়ারিং কমিটিতে উত্থাপিত হলে উক্ত কমিটি ফেলোশিপ বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উল্লেখ্য যে, বিষয়টি গত ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখে তাঁকে ইমেইল মারফত অবহিত করা হয়।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতনসহ ছুটিতে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা ছুটি কাটান তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট থেকে প্রাপ্ত ১০ মাস ২৬ দিনের অসাধারন ছুটি কাটান তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, করোনার কারণে ও আত্মীয়-স্বজনের অসুস্থতার কারণে আমার ডিগ্রি করতে দেরি হয়েছে। ডিগ্রি করতে দেরি হওয়ায় আমার ফেলোশিপ বাতিল হয়েছে। ফেলোশিপ বাতিল হওয়ার পর আমি আমার পড়াশোনা শেষ করেছি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএনএ/ আদনান, নাবিদ, ওজি/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ