বিএনএ,ঢাকা:দেশে রাজনীতির সঙ্গে অপরাজনীতি ও অপশাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।দেশ প্রতিনিয়ত ভিন্ন ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার(১৯ ফেব্রুয়ারি)চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে বেআইনিভাবে দেশের জনগণকে জেলে রাখা হচ্ছে।দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই।একটি রেজিম ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সকল ইউনিটকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের বিষয়ে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা সরকারের কাছে নেই; আর তাই এর দায় বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপাতে চাচ্ছে।এসব রাষ্ট্রের জন্য এসব ভালো খবর না।বাংলাদেশে আইনের শাসনের নামে যে অপশাসন চলছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আসলাম চৌধুরী। তাকে নিয়ে যে অন্যায় চলছে, সেটা একদিন আল-জাজিরার মতো বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমে খবর হয়ে উঠে আসবে। এজন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আসলাম চৌধুরীকে ২০১৬ সালের ১৫ মে কুড়িল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর দফায় দফায় রিমাণ্ডে নিয়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।যেসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেগুলোতে ছয় মাসে জামিন হওয়ার কথা। কিন্তু তাকে মুক্তি না দিয়ে শতাধিক মামলার আসামি করা হয়েছে দাবি করেন তিনি।
পরিকল্পিতভাবে আসলাম চৌধুরীকে জামিন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদন করা হলেই সরকারের তরফ থেকে শুনানির জন্য সময় চাওয়া হয়। এরপরেও হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট সব জায়গা থেকে তার জামিন হয়েছে।সর্বশেষ মামলায় জামিন হওয়ার পর শাহবাগ থানার ৮ বছর আগের এক মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।ওই মামলায় তিন দিনের রিমাণ্ডে নেয় পুলিশ।কিন্তু একদিন রিমাণ্ড শেষে বাকি দুই দিনের জন্য আরও এক মাস সময় চাওয়া হয়। এভাবেই তাকে গত ৫ বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।এখন যদি আসলাম চৌধুরীর কোনো মামলায় জেলও হয়, তিনি তার চাইতেও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়ে দিয়েছেন।ফলে দেশে এখন বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, বিচার চাওয়াই দুষ্কর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্র করার’অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি