25 C
আবহাওয়া
৪:০০ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সহ:প্র.শিক্ষকের ৯৫৭২ পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

সহ:প্র.শিক্ষকের ৯৫৭২ পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

সিলেট  :  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, প্রাথমিকের সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকরা শতভাগ পদোন্নতি পাবেন। সহকারী শিক্ষকগণ ১৩তম গ্রেডে আছেন। তারা দশম গ্রেড চাচ্ছেন।

উপদেষ্টা রবিবার (১৭ নভেম্বর) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধান শিক্ষকরা এখনো দশম গ্রেড পাননি

তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকরা এখনো দশম গ্রেড পাননি। সহকারী শিক্ষকদের জন্য এই মুহূর্তে দশম গ্রেড বাস্তবসম্মত না, তবে প্রস্তাবটা  অযৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১১তম। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হন। তখন গ্রেড পরিবর্তন হবে। আশা করি একদিন পাবেন। এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়।

জনগণ ট্যাক্স দেয়, তারা নিরাপত্তা চায়

ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, আমাদের দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠেছে; তারা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ। জুলাই-আগস্টের টালমাটাল অবস্থায়ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ছন্দে পরিবর্তন হয়নি,  ভেঙে পড়েনি।  জনগণ ট্যাক্স দেয়, তারা নিরাপত্তা চায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।

 

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, ডিআইজি মোঃ মুশফেকুর রহমান ও পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম।

প্রাথমিক শিক্ষা ঠিক মতো না হলে গোড়ায় গলদ থেকে যায়

উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ঠিক মতো না হলে গোড়ায় গলদ থেকে যায়। আপনারা প্রাথমিক শিক্ষা ঠিকমতো চলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন। এলজিইডি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের ক্ষেত্রে জড়িত আছে। আপনারা সময়মত মানসম্মত অবকাঠামো তৈরি করবেন। প্রশাসন সেগুলো নজরদারিতে রাখবে। তিনি জানান, একটি গবেষণায় উঠে এসেছে-প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সিলেট অঞ্চল পিছিয়ে আছে। আমাদের বিপুল জনশক্তি রয়েছে।  জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তরে সিরিয়াসলি কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনও।

আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারব

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি জানুয়ারিতে বই দেয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা পরিমার্জন হয়েছে। প্রাথমিকের বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারব।

উপদেষ্টা পরে একই স্থানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

এরপর উপদেষ্টা সিলেটে গ্র্যান্ড হোটেলে ‘ওয়ার্কশপ অন ডিজাইনিং ফর দ্য নেক্সট সেক্টর প্রোগ্রাম পিইডিপি-৫’  এ বক্তৃতা করেন। পরে উপদেষ্টা সিলেট পিটিআই পরিদর্শন।

বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ