বিএনএ, ঢাকা: জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ১০ মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং বিচারপতিসহ মোট ১৪ জনকে সোমবার(১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
অভিযুক্তদের পরিচয়
যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে, তারা হলেন: সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার। এছাড়া উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম। বর্তমানে গ্রেফতারের পর তারা সবাই বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেফতারি প্রক্রিয়া
গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজার নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার প্রসঙ্গ
প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলোর বাদী হচ্ছেন তিনি নিজেই। গণহত্যার অভিযোগে সংগৃহীত তথ্যগুলো তদন্ত সংস্থা পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে, যা আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপরাধের বিবরণ
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আরও জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে ছাত্র ও জনসাধারণের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেন। তাদের হত্যা করে লাশ গুম করা, বিকৃত করা, জানাজা পড়তে না দেওয়া এবং ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, “প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার শুরুতে আমরা অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করিনি, যাতে তারা পালানোর সুযোগ না পায়।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আজ সোমবার থেকে শুরু হবে।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন