লাইফস্টাইল ডেস্ক: ডাবের পানি ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। গরমে পিপাসা মেটাতে এর জুড়ি নেই। এতে আছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কসহ আরও খনিজ, যা শরীরের জন্য ভালো। পানিশূন্যতার সমস্যা হলে বা পেটের গণ্ডগোল হলেও ডাবের পানি মহৌষধের মতো কাজ করে। এত উপকারী হওয়া সত্বেও সবার ডাবের পানি পান করা উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ডাবের পানি এড়িয়ে চলা উত্তম। নয়তো বিপদ বাড়তে পারে।
কিডনির অসুখে
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, যাঁদের আগে থেকেই কিডনির অসুখ আছে, তাঁরা নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে ‘হাইপারক্যালিমিয়া’ হতে পারে। ফলে শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
অ্যালার্জি থাকলে
অনেকের বিভিন্ন রকম খাবারে অ্যালার্জি থাকে। ডাবের পানিতে আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তা পান করবেন না। এতে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ‘ফুড অ্যালার্জি’-র চিকিৎসা যদি চলমান থাকে কিংবা ওষুধ খান, তাহলে ডাবের পানি পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফুসফুসের রোগে
ফুসফুসে দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণ থাকলে তা থেকে অনেকের সিস্ট হতে পারে। ফুসফুসের যেকোনো সংক্রমণেরই ঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে শেষ পর্যন্ত ফাইব্রোসিসে পরিণত হয়। এতে ফুসফুসের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে স্থূল ও কঠিন হয়ে পড়ে শ্বাসকার্যে বাধা তৈরি করে। তখন একে বলে ‘সিস্টিক ফাইব্রোসিস’। এমন অবস্থা থাকলে ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
রক্তচাপের সমস্যায়
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যদি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, তা হলে রক্তচাপ বাড়বে। আবার পটাশিয়াম বেড়ে গেলে রক্তচাপ কমবে। যাঁদের রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁদের ডাবের পানি পান না করা ভালো। পান করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস থাকলে
ডায়াবেটিসের রোগীদেরও ডাবের পানি প্রতিদিন পান করা যাবে না। চিকিৎসকরা মনে করেন ডায়াবেটিসের রোগী যদি সপ্তাহে এক দিন ডাবের পানি পান করেন, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। যদি প্রতিদিন ডাবের পানি পান করেন, তাহলে বিপদ হতে পারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা